পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নববিধান a বিভা ঠিক বিশ্বাস করিল না, শুধু ধীরে ধীরে কহিল, যা ইচ্ছে হোক, কিন্তু ছেলেটাকে আমি কেড়ে আনবোই, তোমাকে আমি প্ৰতিজ্ঞা করে বললুম। বেহােরা আসিয়া খবর দিল, বন্ধু দু’খানা বড় বড় কার্পেট চাহিতে আসিয়াছে। বন্ধু শৈলেশের অনেকদিনের ভৃত্য। বিভা সবিস্ময়ে প্রশ্ন করিল, সে কার্পেট নিয়ে কি করবে ? -বলিতে বলিতে উভয়েই বাহিরে আসিতেই বন্ধু সেলাম করিয়া তাহার প্রার্থনা জানাইল । কার্পেটে হবে কি বন্ধু ? কি জানি মেমসাহেব, গান-বাজনা না কি হবে । করবে। কে ? সাহেবের সঙ্গে তিন-চারজন লোক এসেচে, করবে। বোধ হয়। তারাই । 77i a(Tiba ? ক্ষেত্ৰমোহন কহিলেন, শৈলেশ এসেচে ? বন্ধু ঘাড় নাড়িয়া জানাইল যে, কাল রাত্ৰে সকলেই ফিরিয়া আসিয়াছেন। কার্পেট লইয়া সে প্ৰস্থান করিলে দু’জনেই নতমুখে নিঃশব্দে দাড়াইয়া রহিলেন । সেইদিনটা কোনমতে ধৈৰ্য্য ধরিয়া থাকিয়া ক্ষেত্ৰমোহন। পরদিন বিকালে বিভা ও উমাকে সঙ্গে করিয়া এ-বাটীতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । অভ্যাসমত নীচের লাইব্রেরীঘরে প্রবেশ করিতে গিয়া বাধা পড়িল । দরজার সেই ভারী পর্দাটা নাই, ভিতরের সমস্তই চোখে পড়িল । একটা দিনেই বাড়ীর চেহারা বদলাইয়া গেছে। বইয়ের আলমারীগুলো আছে বটে, কিন্তু আর কোন আসবাব নাই। মেঝের উপর কম্বল ও তাহাতে ফর্স জাজিম পাতিয়া জন-দুই লোক নধর পরিপুষ্ট দেহের সর্বত্র হরিনামের ছাপ মারিয়া, গলায় মোটা মোটা তুলসীর মালা পরিয়া বসিয়া আছে--- হঠাৎ সাহেব-মেম দেখিয়া তাহারা সন্ত্রস্ত হইয়া উঠিল। ইহাদের