পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ\e) मदवेिक्षांन শত্রুভাবে সৰ্ব্বনাশের বনিয়াদ গড়িয়া গেছে সে-ই। কোনমতে একটা খবর পাইয়া যদি আসিয়া পড়ে তা অনিষ্টের বাকী কিছু আর থাকিবে না । কেবল বিভাই নয়, তাহার উল্লেখে উমার, এমনকি ক্ষেত্রমোহনেরও আজকাল গা জ্বলিতে থাকে। বাস্তবিক তাহাকে না আনিলে তা এ-বালাই কোনদিনই ঘটার সম্ভাবনা छेिठल न्मा । আজ রবিবাবে সকালবেলা স্বামী-স্ত্রীতে বসিয়া এই আলোচনাই করিতেছিলেন । সেই অপমানিত হইয়া ফিরিয়া আসার দিন হইতে ইহারা সে-মুখোও। আর হ’ন নাই, কিন্তু সে-বাড়ীর খবর পাইতে বাকী থাকিত না । গুৰুভ্ৰাতাব দল অদ্যাবধি নড়িবার নামটি পৰ্যন্ত মুখে আনেন না এবং শ্ৰীগুৰু ও গোঁসাই-ঠাকুরাণী উপরের ঘরে তেমনি কায়েম হইয়াই বিরাজ করিতেছেন । সকাল-সন্ধ্যায় নাম-কীৰ্ত্তন অব্যাহত চলিয়াছে, ভোগাদির ব্যবস্থাও উত্তরোত্তর শ্ৰীবৃদ্ধি লাভ করিতেছে, এ-সকল সংবাদ বন্ধুজনের মুখে নিয়মিতভাবেই বিভার কাণে পৌছে , কেবল অতিরিক্ত একটা কথা সম্প্রতি শোনা গিয়াছে যে, শ্ৰীধাম নবদ্বীপে একটা জায়গা লইয়া শৈলেশ গুরুদেবের আশ্রম তৈরি করার সঙ্কল্প করিয়াছে এবং এইহেতু অনেক টাকা ধার করিবার চেষ্টা করিয়া বেড়াইতেছে। বিভা মলিনমুখে কহিল, যদি সত্যিই হয়, দাদাকে কি একবার বঁাচাবার চেষ্টাও করবে না ? ছেলেটা কি চোখের সামনে ভেসেই যাবে ? ক্ষেত্ৰমোহন নিঃশ্বাস ফেলিয়া কহিলেন, কি করতে পারি বল ? বিভা চুপ করিয়া রহিল। কেমন করিয়া কি হইতে পারে সে उiहान कि छान । ক্ষেত্রমোহন সহসা বলিয়া উঠিলেন, সেই যে এসেছি। পৰ্যন্ত ত আর কখনও যাইনি, আজ চল না একবার যাই । বিতার বুকের মধ্যেটা আজ সত্যই কঁাদিতেছিল, তাই বোধ হয়