পাতা:নবযুগের বাংলা - বিপিনচন্দ্র পাল.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
নবম কথা
হিন্দু মেলা ও নবগোপাল মিত্র

আজিকালিকার বাঙ্গালী বোধ হয় অনেকেই নবগোপাল মিত্রের নাম জানেন না, কিন্তু বাংলার নবযুগের কথায় তাহার জীবন ও কর্ম্ম উপেক্ষা করা সম্ভব নহে; করিলে এই যুগের একটা প্রধান অধ্যায় অপূর্ণ থাকিয়া যায়। পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে নবগোপাল মিত্র কলিকাতা সমাজে সুপরিচিত ছিলেন। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের ও ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে তার বিশেষ ঘনিষ্টতা ছিল। কলিকাতা বা আদি-ব্রাহ্মসাঙ্গের সঙ্গেও তাহার ঘনিষ্ট যোগ ছিল। ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র যখন মহর্ষিকে ছাড়িয়া আসিয়া নূতন ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা করিতে উদ্যত হন, সে সময়ে মহর্ষির ও কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজের পক্ষ অবলম্বন করিয়া নবগোপাল মিত্র মহাশয় তাহার কর্ম্মের তীব্র প্রতিবাদ করেন। ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করিবার মানসে কেশবচন্দ্র ব্রাহ্মদিগের যে সাধারণ সভা আহ্বান করেন, সে সভায় নবগোপাল মিত্র মহাশয় উপস্থিত হইয়া কেশবচন্দ্রকে পদে পদে বাধা দিবার চেষ্টা করেন। এই সময়েই সর্বপ্রথমে নবগোপালবাবু সেকালের শিক্ষিত সমাজের নিকটে সুপরিচিত হন। ইহার দুই তিন বৎসর পরে কেশবচন্দ্রের প্ররোচনায় ভারত গভর্ণমেণ্ট যখন ব্রাহ্ম বিবাহ আইন করিতে উদ্যত হয়েন, তখনও নবগোপাল মিত্র মহাশয় কেশবচন্দ্রের প্রতিপক্ষরূপে এই আইন যাহাতে পাশ না হয় তাহার জন্য বিশেষ আন্দোলন করেন। আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রচলিত হিন্দু