পাতা:নবরত্নমালা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুকারাম । ابوا9 আসিয়া একত্ৰিত মণ্ডলীর মধ্যে কে শিবাজী তাহা চিনিতে পায়ে নাই । শ্রোতৃবর্গের মধ্যে কোন একজন লোককে পলায়নোদ্যত দেখিয়া শিবাজী অনুমানে শত্রুদল তাহার পশ্চাতে ধাবমান হয়, এই অবসরে শিবাজী তথা হইতে সরিয়া পড়িয়া তাহার সিংহগড় দুৰ্গে গিয়া উপস্থিত হন। হিন্দুদিগের বিশ্বাস এই যে, তুকারামেরু, প্রার্থনা ও পুণ্য বলে শিবাজী শত্রুর চক্রান্ত হইতে রক্ষা পাইলেন। তুকারামের জীবনীতে আরো দু একটি এমন অদ্ভুত ঘটনার উল্লেখ দেখা যায়, যাহাতে র্তাহাকে দৈবশক্তি সম্পন্ন মহাপুরুষ বলিয়া ভক্তের মনে প্রতীতি জন্মিতে পারে। তিনি কিরূপে একটি মৃত শিশুর প্রাণ দান করিলেন একটি অভঙ্গে তাহার উল্লেখ আছে, তাহা হইতে তুকারাম যে নিজের অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস করিতেন তাহা কতকটা সপ্রমান হইতেছে! মহীপতি। ঐ ঘটনাটির এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন লোহগ্রামে সংকীৰ্ত্তণ হইতেছিল। এমন সময় একটি স্ত্রীলোক আপনার শিশুর মৃতদেহ আনিয়া তুকারামের সম্মুখে রাখিয়া বলিল - বাপু আমার এই শিশুটিকে বাচাইয়া দিতে হইবে । তুমি যদি যথার্থই বিষ্ণুভক্ত হও তাহা হইলে এই ছেলেটির প্রাণদান করা তোমার পক্ষে অসাধ্য হইবে না । তুকারাম তৎক্ষণাৎ একটি আঁভঙ্গ রচনা করিয়া নারায়ণের স্তব করিলেন-শিশুটি সজীব হইয়। উঠিল-সকলে দেখিয়া অবাক । অভঙ্গটি এই-- RV ( অচিন্তা তোমার শক্তি, ওহে নারায়ণ, নিজীবে করিতে পার তুমি সচেতন ।