পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুরুক্ষেত্র। " ১২২১ “কি শান্তির মহামূৰ্ত্তি অনন্ত আকাশ– নীরব, নিদ্রিত । নীচে নীরব, নিদ্রিত কুরুক্ষেত্র কি বিরাট মূৰ্ত্তি অশাস্তির । বিরাট রাক্ষস-মূৰ্ত্তি বীরত্ব ভীষণ ভারভের, দিবসেতে জীমূত নির্ঘোষে গরজি অসংখ্য কণ্ঠে, সংখ্যাতীত ভুঞ্জে প্ৰহারি অসংখ্য বঞ্জ; অসংখ্য চরণে বীর দৰ্পে বসুন্ধরা করিয়া কম্পিত, যোজন যোজনান্তর বিরাট শরীরে ব্যাপি আত্মঘাতী এবে নীরব নিদ্রিত,— ঝটিকাস্তে সুপ্ত মহা পারাবার মত ! হয় মা ! হায় মা ! শিবে শাস্তিস্বরূপিণ । দিবসে তুমি মা গৌরী, মা গো রজনীতে কৃষ্ণভাগে তুমি কালী, শুক্ল ভাগে শুভ্র জ্যোৎস্না-বরণী মা গো তুমি সরস্বতী— সৰ্ব্বত্র তোমার মুখ কি শান্ত মুন্দর । তবে কেন তব এই জগতে, জননি! এতই অশান্তি আহা ! এত বজ্র, ঝড় ? সৰ্ব্বণি ! সৰ্ব্বেশে । সৰ্ব্বশক্তিসমন্বিতে ! জানি তুমি নিত্য, আর অনিত্য জগত । কিন্তু করিলে না কেন জগত তোমার অনন্ত শাস্তির ছায় ? শাস্তিতে জন্মিয়া, শাস্তিতে এ পান্থশালে কাটিয়া দিন, যাইত তোমার বক্ষে শক্তিতে মিশিয়া ? আপনি করুণাময়ী, সহ মা কেমনে জগতের এত দুঃখ ? প্রচও অনলে