পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬৬ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী t কাননের পথে ফুল্ল জ্যোৎস্নার হর । সংহরিয়া সংশপ্তক কপিধ্বজ বুথ ফিরিতেছে ধীরে ধীরে ; শোকভারে রথ ভারাক্রান্ত, ভারাক্রান্ত রথীর হৃদয়। কিন্তু সারথির সেই প্রশস্ত হৃদয়ে প্রশান্ত ললাট স্বর্গে, নাহি সেই ছায়া। পড়ে মেঘ-ছায়া ক্ষুদ্র বক্ষে সরসীয় ; অতল জলধি বক্ষে যায় মিশাই । “হ কেশব ! এ ছিল স্ট্রি নিয়তি আমার”— বাপ-গদগদকণ্ঠে কহিলা ফাল্গুনি"তব নারায়ণী সেন, অতুল জগতে, এরূপে অৰ্জুন হয় । করিবে সংহার ! সত্য, দেব দ্বৈপায়ন ! বুঝিনু আবার— মানুষের দৃষ্ট ক্ষুদ্র, অদৃষ্ট অপার ” “বৃথা অনুতাপ পার্থ।” প্রশাস্তু বদনে উত্ত্বরিল নারায়ণ,—“সেনা নারায়ণী সাধিবারে নারায়ণ-কাৰ্য্য ধরুতিলে হইল স্থঞ্জিত, সাধি নারায়ণ-কাৰ্য্য এই দীর্ঘকাল, আজি জলবিম্ব রাশি মিশাইল মহাজলে ইচ্ছ য় তাহার ;গাগুীবি গাগুীৰ মাত্র করেতে ঠহার। এখনো বুঝিলে নাকি, ধ্বংস ক্ষন্ত্রিয়ের, কৌরব পণ্ডিব সেন, সেনা নারায়ণী, ইচ্ছা তঁর । অধৰ্ম্মের যেই মহা বিযে ক্ষত্রিয়ের রক্ত মাংস মজ্জা জর্জরিত, কার সাধ্য সেই বিষ করিবে উদ্ধাৰু ?