পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

فصمم ১২৭০ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । অনন্ত উত্তপ্ত যেন মরু বিভীষণ । চক্রবৃহ করি, হায় ! দুৰ্ব্বিজয় দ্রোণ করিলা কি ধৰ্ম্মরাজে বন্দী আজি রণে ? কিংবা অভিমন্য তব আছে ত কুশলে ? দেখিতে তাহার মুখ, প্রীতি পুষ্পবন, আজি কেন প্রাণ মম কাতর এমন ?” চাপি অমঙ্গল চিত্ত স্থিরকণ্ঠে ধীরে কহিলেন বাস্থদেব,-“আছেন কুশলে ধনঞ্জয় ! মহারাজ অমাত্য সহিত । তুর্ভাবন কর দূর । মঙ্গল-নিদান করিবেন তোমাদের অজস্র কল্যাণ ।” উত্তীর্ণ সমর-ক্ষেত্র । নক্ষত্রের বেগে চলিতে লাগিল রথ । দেখিলা অদূরে দুই জনে নিরানন্দ পাগুব-শিবির অভিাহীন শোভাহীন বিজয়-প্রদোষে যেন শূন্ত পূজাগৃহ নিরানন্দময় । অকুল হৃদয়ে পার্থ কহিল,—“কেশৱ ! বাজে না মঙ্গল তুরী, ছন্দুভি, পটহ ; নীরব মুরজ বীণা ৷ পরাভব সংশপ্তক অসিতেছি, কই নাহি গায় বন্দগণ অগ্রসর স্বতিপূর্ণ মঙ্গল সঙ্গীত । পুর-নারীগণ নাহি গবাক্ষ-দুয়ারে

  1. াড়াইয়া শিবিরের দেয় হলুধ্বনি,

করে পুষ্প বরিষণ । কই পুত্ৰগণ, কই অভিময় কই, আসে না ছুটিয়া প্রীতিপূর্ণ মুখে করি প্রীতি সম্ভাষণ।