পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস । ' ')్చ సె হইতেছে শিলাময় ; ডুবিছে হৃদয় বিষাদ-সিন্ধুর গর্ভে নিরানন্দময় । শুধু দিদি আজ নয়, প্রাণ নিরানন্দময় বহু দিন, বহু দিন হৃদয়ে আমার হইয়াছে কি যেন কি ছায়ার সঞ্চার।” রুক্মিণী। কেন দিদি, কি ছায়া সে ? কেমনে সঞ্চার সত্যু হইল হৃদয়ে তোর ? কেন এ বিষাদ ঘোর ? আমরা রাজার কস্তা, প্রেয়সী রাজার, পতি নর-নারায়ণ-বিষ্ণু অবতার। পুত্ৰগণ ইন্দ্রসম, রূপে গুণে নিরুপম । রূপ গুণ প্রেম তোর জগতে দুৰ্লভ। তোর হৃদয়েতে ছায়া, এ কি অসম্ভব ! শুন নাই তুমি, দিদি, কত অমঙ্গল ধটিয়াছে যাদবের রাজ্যে অবিরল । বলি নাই, কে বলিবে ? তোর প্রাণে ব্যথা দিবে, নাহি চাহে কারো প্ৰাণ সরল তরল তোর প্রাণ, শিশিরাক্ত কামিনী কোমল, পড়ে ঝরে পরশনে ; তোরে অকরুণ মনে কে কহিবে অমঙ্গল দুঃখ-সমাচার ? নিক্ষেপিবে শিলা প্রাণে যুথিকামালার ? ত্রিদিবের কোমলতা, ত্রিদিবের প্ৰেমলতা, ৱিদিবের পবিত্রত, এ মর্বে কঠিন কেমনে আসিলি তুই, ভাবি চিরদিন । আছিস এ মর্তে পড়ি, এই দেবীরূপ ধরি, এ মাটির পৃথিবীর তুই কিছু নয়, মাটির বাতাস তোর প্রাণে নাহি সয় ।