পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$888 নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । শূন্ত ! শূন্ত ! সব শূন্ত ! শূন্ত এ জগত ! হৃদয়-জগত শূন্ত ! শূন্ত তুমি, আমি। নাহি শক্তি দেহে মম, নাহি মম দেহ ! নাহি হৃদয়ের শক্তি, স্থিতি হৃদয়ের । শক্তিহীন, দেহহীন, হৃদয়বিহীন, কি ষেন রয়েছি আমি 1-স্বপন স্বপন । ছায়া ! অন্ধকার ; অন্ধকার * । শান্ত কণ্ঠে স্থির কহিলেন ভদ্রাদেবী—“শোকে অভিভূও হইও না এই রূপে ! কায় ! যাদবের অনাথ শিশুর, আর নারী অনাথার রয়েছে রক্ষণভার করেতে তোমার ” “শোক ভদ্রা "-শোকরুদ্ধ কণ্ঠে ধনঞ্জয় কহিলেন-“শোক ভদ্র । শোক দুই বার পাইয়াছি এ জীবনে। দুই বজ্রাঘাতে বিদীর্ণ, বিচূর্ণ, শোকে হয়েছে হৃদয় দুই বার, দুই ক্ষেত্রে । কুরুক্ষেত্রে-কোলে জননীর মহাশয্যা সে মহাশিশুর । আশ্রমে,—সে মহাশয্যা সাধ্বী বালিকার মাতৃকোলে, এ পাষাণ পিতৃপদতলে ! আমাদের পদতলে করি সমর্পণ প্রস্থতি প্রস্থত সপ্ত শিশু নিরাশ্রয়, কহিল কাদিয়া—‘শেষ পূজা উত্তরার লও বাবা । লণ্ড মাতা ! এ পবিত্র ফুলে, উত্তপ্লার অশ্রুজলে । শোধিল উত্তরা আজি তোমাদের ঋণ অনন্ত স্নেহের ।