পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ግቂ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী। কৃষ্ণ মম রক্তে, মাংসে অস্থিতে, কৃষ্ণ মজ্জায়। কৃষ্ণ মম এ হৃদয়ে, এ ক্ষতে দেখ না, হয় ।” বক্ষের সে অস্ত্ৰক্ষত উত্তেজিত বিস্ফারিত হইয়া আবেগে, রক্ত হইতেছে প্রবাহিত । রক্তজবা হ’তে যেন রক্ত চন্দনের ধারা ঝরিতেছে পুস্পপাত্রে ; বামুকির নেত্র-তারা আবার উঠিল ভাসি প্রেমাশুতে সুশীতল, ' বিষ্ণু-পদে উপজিল যেন জাহ্নবীর জল “কোথা কৃষ্ণ, ধনঞ্জয় ?” করি আসি নিস্কোষিত, কহিলা নাগেন্দ্র পুনঃ—“কর বক্ষ বিদারিত ! দেগিব আমার সেই ননীচের নীলমণি ; . পুধি তীরে কি আদরে দিয়া প্রেম ক্ষীরননী । কত শাসি, কত হাসি, সাজাই সে তমুখান ! আমি তার পিতা নন্দ, যশোদা জননী আমি । শ্ৰীদাম মুদাম আমি, কত খেল খেলি সঙ্গে । ব্রজের কিশোরী আমি, কত ক্রীড়া করি রঙ্গে ; কুঞ্জে কুঞ্জে জ্যোৎস্নায় বাজে কি মধুর বাণী । কি প্রেম-যমুনা বহে কি অনন্ত প্রেমরাশি এই শুন বাঙ্গে বশী, ওই ডাকে—‘আয় ; আর } এই ঘাই, এই যাই ।”—প্রেমে রোমাঞ্চিত কান্থ ছুটিল বাস্থকি বেগে নাচি করতালি দিয়া, ধরিলেন ধনঞ্জয় দুই বাহু প্রগরিয়া । *যাক মান, স্বাক কুল । ছেড়ে দেও ! ছেড়ে দেও ! জীবন যৌবন নাথ ! নেও তুমি..সব নেও ” ক্টাদিতে কঁদিতে ক্ৰমে ভাবাবেশে মূৰুছিত মইল পার্থের বক্ষে,-দুই বক্ষ সম্মিলিত