পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমিতাভ । (ty শ্ৰীমদ্ভগবং হিন্দুদিগের সর্বপ্রধান ভক্তিগ্রন্থ। উহার দশম স্কন্ধের ২৪শ অধ্যায়ের বঙ্গবাসী’ কৃত বঙ্গানুবাদ হইতে নিম্নলিখিত শ্ৰীকৃষ্ণোক্তি উদ্ধৃত হইলঃ— । “জন্তু কৰ্ম্মাশেই জন্মগ্রহণ করে,-কৰ্ম্মাশেই লয় পায়, এবং কৰ্ম্মবশেই মুখ, দুঃখ,ভয় ও মঙ্গল লাভ করিয়া থাকে। আর যদি অস্তের কৰ্ম্মের ফলদাতা একজন ঈশ্বর থাকেন, তাহা হইলে তিনিও কৰ্ম্মকৰ্ত্তাকেই ভজনা করেন ; কারণ ষে কুৰ্ম্ম না করে, তিনি তাহাকে কগদান করিতে পারেন না। অতএব জীৱগণকে যখন কৰ্ম্মেরই অনুবর্তন করিতে হইতেছে তখন তাহদের ইন্দ্রে প্রয়োজন কি ? প্রাক্তন সংস্কার অনুসারে মনুষ্যদিগের ভাগ্যে যাহা বিহিত হইস্বাছে, তিনি তাহার কখনই অন্যথা করিতে পারেন না । মনুষ্য স্বভাবেরই অধীন, স্বভাবেরই অনুসরণ করিয়া থাকে। দেবতা, অমুর ও মনুষ্য সকলেই স্বভাবে অবস্থিত রহিয়াছে । জীব কৰ্ম্মবশে উচ্চ, নীচ দেহ লাভ করিয়া কৰ্ম্ম শেই পরিত্যাগ করিয়া থাকে । কৰ্ম্মবশেই শত্রু মিত্র বা উদাসীন হইতে দেখা যায় । সুতরাং কৰ্ম্মই ঈশ্বর। অতএব স্বভাবস্থ, স্বকৰ্ম্মকারী জীব কৰ্ম্মে ই পূজা করিবে ।” ইহাই স্বয়ং ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের উক্তি। এবং ইহাই প্রকৃত বৌদ্ধধৰ্ম্ম নহে কি ! বুদ্ধদেব ইহার অধিক निद्रौश्रृंठूदांप्त कि কোথায়ও শিক্ষা দিয়াছিলেন ? আমরা আরও দেখিতেছি বুদ্ধদেৰ আমাদের দশাবতারের মধ্যে নবম অবতার। তিনিই শ্ৰীক্ষেত্রে শ্ৰীজগন্নথরূপে পূজিত হইতেছেন। বঙ্গের কৃতী পুত্র রাজেন্দ্রলাল দেখাইয়াছেন শ্ৰীক্ষেত্রের অদ্ভুত জগন্নাথ, মুভদ্রা ও বলরাম মূৰ্ত্তি, বৌদ্ধদিগের মধ্যে যে বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও সঙ্ঘ নামক তিনটি মণ্ডল ছিল, তাহারই প্রতিরূপ মাজ । তিনি প্রতিপন্ন করিয়াছেন বুদ্ধগয়ার সমীপবর্তী বিষ্ণুপদ বুদ্ধপদ মাত্র। বুদ্ধ আমাদের বিষ্ণু অবতার, কাজেই উহা বিষ্ণুপদ৷ বৌদ্ধ