পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম হাসিয়া কহে—“দেখ চেয়ে ৰোগিবর : কুস্বম-তরঙ্গে অঙ্গ নিৰ্মিত, সজ্জিত । বাসন্তী জ্যোৎস্নারূপ , কণ্ঠ কোকিলের স্বর ; নিশ্বাস মলয়মম স্বরতি পূরিত । - আকাশনিবিড় কেশ তারকায় বিভূতি, . তারকা বলয়, কণ্ঠে তারকার হার, পূৰ্ণচন্দ্র কিরীটিনী, আমায় বরণ কর জগতের এ সৌন্দর্য হইবে তোমার ” । দ্বিতীয়া ঝলকে হাসি, কহে-“দেখ শাক্যসিংহ ! রতনে নিৰ্ম্মিত অঙ্গ, রতনে খচিত, কষিত কাঞ্চন-কাস্তিতুলিয়াছে কি তরঙ্গ, । রতন-আভায় দেখ দিক উজ্জ্বলিত । হৃদয় হীরকখনি, প্রবালে মুকুত দন্ত, পদ্মরাগে নীলমণি যুগল নয়ন ; রতন-কিরীট শিরে ; বরণ আমায় কর, ঐশ্বৰ্য্য এ জগতের করিব অর্পণ - মধুরে তৃতীয়া কহে অমৃত বরধি—“দেখ .. অকলঙ্ক রূপ মম অমল ধবল । কত কণ্ঠ একতানে বাজে এই কণ্ঠে মম, বরষে অমৃতধারা অমল তরল এই কণ্ঠ কালজয়ী, সৰ্ব্বব্যাপী, অধারিত, কেমন সৌরভ দেখ নিশ্বাসে আমার । কণ্ঠ-মুধামী আমি, আমায় বরিলে যোগি । জগতের যশোরাশি হইবে তোমার ” । চতুর্থ সগৰ্ব্বে কহে—”এই দেখ রূপ মম নৈাঘ ভাস্কর-তেজে দীপ্ত সমুজ্জ্বল ।