পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমিতাভ ১৬১৭ ৷ চিনি পঞ্চশর তোর,—সৌন্দর্য্য, ঐশ্বৰ্য্য, যশঃ, চিনি আমি ; চিনি আর গৌরব, বিলাস ; চিনি তাহদের শক্তি, চিনি তোর পত্নী রতি, আপনি মোহিনী, তার করে মোহ-পাশ । করি এই কাম্য পঞ্চে প্রথমেই প্রলোভিত, পরে ক্রমে অনুরাগ করিয়া সঞ্চার, তস্করের মত কাম প্রবেশে মানব-মনে ; করে কাম্য-সুখে রত, মোহ পরে তাঁর । মেহের বন্ধনে পড়ি না দেখে দুৰ্ব্বল নর রতির:পশ্চাতে জরা, ব্যাধি, মৃত্যু আর, কি ভীষণ ছায়াত্রয় ! কি গভীর দুঃখময় ! কি গভীর জঃখে নব করে হাহাকার । আমি এই মোহপাশ কটিয়াছি বহুদিন ; আসিলি কি তুই পুনঃ ছলিতে আমায় ? বিফল করিতে মম এ দীর্ঘ তপস্তা-ফল, ওরে স্বরাচার! নাহি চিনিলি আমাৰ ” জ্বলিল সংযমানল, ছুটিল নয়ন পথে সে বহি, হইল ভস্ম মুহূৰ্ত্তেকে কাম, । শোকাকুল রতিসহ মোহিনী ষোড়শী পঞ্চ সে অগ্নিতে ছায়া যেন হলো তিরোধান । সম্বরিলে সেই বহ্নি দেখিলেন শাক্যসিংহ দাড়ায়ে অদূরে এক মূৰ্ত্তি বিভীষণ, শরীর কঙ্কাল-সার, লেলিহান মহাজিহা, আসিছে গ্রাসিতে যেন বিস্তারি বদন। “দুর হও । দুর্ব হও ”—যোগী কহিলেন ডাকি— “চিমিয়াছি তোরে মৃত্যু বীভৎস-আকার ।