পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"ব্রাহ্মণ । আমিও ভূমি করিয়া কর্ষণ বহুশ্রমে, তাহে বীজ করিয়া বপন, উৎপন্ন করিয়া শস্ত করি তা আহর ।” বিস্মিত ব্রাহ্মণ কহে,—“কৃষিজীবী তুমি । দেখিতে পাই ন কই চিহ্নও তাহার । কোথায় বলদ তব, কোথা বীজ, হল ?” “বিশ্বাস আমার বীজ,”- বুদ্ধ উত্তরিলা— *আমার শস্তের ক্ষেত্র মানব হৃদয় । ধৰ্ম্ম মম হল, জ্ঞান বলদ আমার, নিৰ্ব্বণ আমার শস্ত অমর অক্ষয় ।” খুলিল নয়ন পদপ্রাস্তে ভরদ্বাজ পড়িয়া মাগিল; দীক্ষণ, লইলা সন্ন্যাস । একদা অলাবী’ বনে দক্ষ্যর কুটীরে আছেন সমাধিমগ্ন । আসি দ্বরাচার কহিল—“কে তুমি এই কুটীরে আমার ? দূর হও, নহে প্রাণ বধিব এখন ’ মেলিয়া নয়ন বুদ্ধ চাহি দস্থ্যপানে চ িলেন । “ও কি জ্যোতি নয়নে ইহার ”-- ভাবিতে লাগিল দস্থ্য—“নহে মানবের এই মূৰ্ত্তি। দস্থ্য আমি হৃদয় আমার কঠিন প্রস্তর সম, হইয়া দ্রবিত সে পাষণে যেন মূৰ্ত্তি হতেছে অঙ্কিত ।” ৰহিল প্রকাশ্বে দম্য—“সাধু তুমি যদি, কহ মানুষের কিবা ধন শ্রেষ্ঠতম ? তাহার কি কার্য্যে মুখ ? কি জীবন শ্রেষ্ঠ । স্বাছ কিবা শ্রেষ্ঠতম ? প্রশ্নের আমার