পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমিতাভ ৬৫৫ নিশীথিনী-ছায়া মত কৃষ্ণ ভয়ঙ্করী , মৃত্যুছায়া-সমাচ্ছন্ন। কত শত পুত্র মরিয়াছে, মরিতেছে ! কত পুত্র চিতা জ্বলিছে মানব-বক্ষে, শত সংখ্যাতীত, ওই মহানগরের দীপালোক মত । ধীরে ধীরে নিশীথিনী হইল গভীর ; নিবিল সে দীপালোক । মৃত পুত্র ক্রোড়ে উদাসিনী আছে বসি পূর্ণ আত্মহারা । দৈববাণী মত কণ্ঠ কহিল গম্ভীরে— “দেখ মাত: হায়! ওই দীপালোক মত মানব-জীবনালোক জ্বলি কিছুক্ষণ, যায় মিশাইয়া পুন: গভীর অtধারে আপনার কৰ্ম্মফলে। কৰ্ম্মফলে তব গিয়াছে চলিয়া পুত্র। যাইবে আপনি, আপনার কৰ্ম্ম-চক্র কর অনুসার।* সেীমা দেবমূৰ্ত্তি কৃষ্ণা দেখিল নয়নে আলোকিয়া অন্ধকার । দিয়া বিসর্জন মৃত পুতু, সন্ন্যাসিনী হইল তখন । স্থলবুদ্ধি নব শিষ্য স্বর্ণকারে এক কহিলেন সারিপুত্ৰ—“চিন্তু অপবিত্র জগতের যাবতীয় বিষয় সকল ঘৃণিত হৃদয়ে তুমি, হইবে উজ্জল । সে ঘৃণা হইতে ধৰ্ম্ম-অনুরাগ তব ধূমাস্তে অনল ষধ - গেল চারি মাস শিষ্যের সে স্থল জ্ঞান রহিল তেমন । বুদ্ধদেব দিয়া তারে স্বচাঙ্গ বসন,