পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৭৪ - নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলা। উপর উঠলেন, এবং তখনই অন্ধকার ভেদ করিয়া একটি প্রকাণ্ড । সমুদ্রতরঙ্গ আসিয়া তাহাদিগকে গুরুতর আঘাত করিয়া মন্তকের উপর দিয়া চলিয়া গেহ, এবং চলাথানি সেই সঙ্গে ভাসাইয়া নিল । অনাথনাথ একখানি উড়ানি দ্বারা তাহার পত্নী পুত্রকে আপনার দেহের সঙ্গে দৃঢ়ৰূপে বাধিয়াছিলেন । , মুহূৰ্ত্ত পরে দ্বিতীয় এক তরঙ্গ আসিয়া সে গলাখনি উলটাইয়া দিল, এবং তাহাদিগকে ডুবাইয়া ভীষণ বেগে ভাশইয়া লইয়া চলিল । অনাথনাথ খুব বলিষ্ঠ পুরুষ ও সস্তরণপটু ছিলেন। জলরাশির উপর ভাসিয়ু উঠা দেখিলেন, তাহার সেই লক্ষ্মী-স্বরূপ পতি প্রাণা পত্নী নাই। তরঙ্গে উড়ানি ছিন্ন করিয়া তাহাকে ভাসাইয়া লইয়া গিয়াছে , তাহার হৃদয় ষেন ঋট গ অপেক্ষাও বিরাটশদ করিয়া বিদীর্ণ হইল ; তিনি ভুীয়া গেলেন । আবাব ষধন উঠলেন, তখন একখানি কাষ্ঠ বেগে ভাসিয়া আসিয়া তাহাকে ও তাহার বক্ষঃস্থ পুত্রটিকে ভীষণ আঘাত করি । আঘাতে উভয়ে চীৎকার করিলেন । সেই মৰ্ম্মভেদী আৰ্ত্তনাদ ঝড়ুে ভাসিয় গেল । তিনি বাম হস্তে পুত্রকে ধরিয়া সঙ্করণ করিড়েছিলেন, কিন্তু দক্ষিণ হস্তে ও বক্ষে এরূপ ব্যথা অনুভব করিলেন যে, পুলকে ও আপনাকে বৃক্ষ করিবার আশা তিনি ত্যাগ করিলেন : র্ক্সহার দেহেও যেন মূৰ্ছ সঞ্চারিত হইছেছিল । তিনি সেই অৰ্দ্ধমূৰ্ছিতাবস্থায় চীৎকার করিয়া ডাকিয় বলিলেন,—“ছে যদি আমার পুত্রটিকে বৃক্ষা কর; আমার সমস্ত বিষয় তাহকে দি ” এমন সময়ে দৈববাণীর মত র্ত্যহার কর্ণে প্রৰিষ্ট হইল,-“বাবা ! ভয় নাই, তুমি মাকে রক্ষা কর । আমি অমিয়কে রক্ষণ করিব।” অনাথনাথ কেবল বলিলেন,-“মা ! তুই কে ? তুই কি সত্যই কমলে কামিনী দুর্গ। " এমন সময়ে কর্দমময় তৃষ্ঠীর এক তরঙ্গ আসিয়া তাহকে আহত করিল।