পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৯৪ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । : ই বাবা তিনি কে ? আমার দিদি ? আমাকে ত আমার দিদি রক্ষা করিয়াছে।” - - অনাথনাথ শিশুকে আবার বালিকার কোলে দিয়া বলিলেন, “বাবা ! সত্য সত্যই তোমার দিদি সেই ভগবতী। আমি এমন বালিকা দেখি নাই ” শিশুর মুখে তাহার সেই শোকের মধ্যে, মেঘের বিরামে জ্যোৎস্নার মত একটু আনন্দ দেখা দিল । সে প্রেমন্তরে তাহার সজল বিস্তৃতনয়নে বালিকার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল । বালিকা বার বার সেইরূপ সঙ্গল-নেত্রে তাহার মুখচুম্বন করিল। শিশু তাহার পর বহুক্ষণ সন্ধ্যছয়াসমাচ্ছন্ন সমুদ্রের দিকে চাহিয়া রহিল। স্বৰ্য্যদেব সমুদ্রগর্ভে বুক্তজবা বিকীর্ণ করিয়া ধীরে ধীরে অস্ত যাইতেছিলেন। সে অবর্ণনীয় অননুভবনীয় শোভা বালক অতৃপ্তনয়নে দেখিতে লাগিল । শিশু জিজ্ঞাসা করিল, “বাবা । স্বৰ্য্য কোথায় যাইতেছে ! ও কি সমুদ্রে ডুবিয়া যাইতেছে ? অ ! না বাপ ! সমুদ্রর অন্ত পারেও অনেক দেশ আছে, অনেক লোক আছে। স্থৰ্য্য এখন সে সকল দেশে আলো দিতে যাইতেছে। শি । বাবা । মানুষও কি সেইরূপ এক দেশ হইতে আর এক দেশ আলো করিতে যয় ? আমার মাও কি সেইরূপ আর এক ৰেশ আলো করিতে গিয়াছে ? হুঁ ৰাবা | আমি সে দেশ দেখিয়ছি। বড় স্বন্দর দেশ। আমি দিদির কোলে গুইয়। গুইয়া গে দেশ অনেকবার দেখিয়াছি। সেখানে কেমন জ্যোৎস্না, কত ফুল, কেমন মুগন্ধ -কেমন মুন্দর ফুলের । উপর আমাদের বাড়ীর লক্ষ্মীঠাকুরাণীর মত মা ; বসিয়া হাসিতেছেন । আমাকে “অমিয় ; অমিয় " বলিয়া ডাকিতেছেন। সেই যাত্রার প্রহ্লাদের মত কত সুন্দর স্বন্দর