পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভামনুতা। ১৮২৫ স্থানান্তর হইতে প্রজা সমাগত হইতেছে। জমিদারি আবার গ্রন্থপূর্ণ হইতেছে, এবং সকলে জমিদারের কৃতিত্বে ও দেবত্বে উৎসাহিত হইয়া আবার কৃষিকাৰ্য্য আরম্ভ করিয়াছে। এখন আর জমিদারীতে র্তাহার, বিশেষ কোনও কাৰ্য্য নাই। ভামুমতীকে সঙ্গে লইয়া বাড়ী যাইবেন, সঙ্কল্প করিলেন। কিন্তু ভানুমতী যাইতে অস্বীকার কfরল । সে বলিল, তাহার অমিয় এখানে, তাহরে গোপাল এখানে, তাহার সেই লক্ষ্মীস্বরূপ মাতঅনাথনাথের পত্নী-এখানে, সে এখানে থাকিবে । সে বেদের মেয়ে, এ সকল গরীব দুঃখীর পুত্ৰকণ্ঠাকে বুকে লইয়া, তাহদের মাতাকে মাতা বলিয়া, সে সেই শোক হৃদয় বহন করিবে । দরদর ধারায় তাহার অশ্রু বহিতে লাগিল । অনাথনাথেরও পুত্রপত্নীর শোক আবার এত দিন পরে উথলিয়া উঠিল । তিনি ংষত, স্থির প্রকৃতির লোক। প্রজার দুঃখনিবারণ ব্রতে সেই শোক চাপিয়া রাখিয়াছিলেন। প্রাণাধিক পত্নীপুত্রকে এখানে রাথিয়া গৃহে ফিরিবেন, এই স্থতিতে বহুদিন পর তাহারও চক্ষে জল আসিল । আত্মসংযমবলে অশ্রুসংবরণ করিয়া বলিলেন,-’ম ! তুই ভিন্ন আমার আর কে আছে ? তুই আমার এ জীবনের একমাত্র শান্তি ! তোকে ফেলিয়া আমি সেই শ্মশানে শূন্ত হৃদয়ে কি আকর্ষণে ফিল্পিৰ ? আমিও তবে আর বাড়ী ফিরিব ন৷ ” ভানুমতী কিছুক্ষণ নীরত্ৰে শস্ত সমুদ্রের দিকে চাহিয়া কি ভাবিল। শেষে তাহার সঙ্গে যাইতে সম্মত হইল । অল্প প্রাতে অনাথনাথ গৃহে ধাত্রা করিবেন। ঘাটে সজ্জিং বজরা নানা বর্ণের পাতাকা উড়াইয়া সমুদ্রের শান্ত লহরী;ে মৃদু মৃদ্ধ লিতেছে। সমুদ্রসৈকতে লোকারণ। প্রজাগণনরনারী, বালক বালিকা,--তাহাকে বিদায় দিত্তে আসি জাৰ্বনাদ করিয়া কঁদিতেছে কেহ কেহ চরণতলে গড়াগা