পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানুমতী । ১৮৬৯ জন্যে, রাজপুত্রের সন্ন্যাস, ঘোরতর তপস্য, অপূৰ্ব্ব নিৰ্ব্বাণ-ধৰ্ম্মপ্রচার, তিরোধান, ಆfಆಸ್ಮಿರ್ತಕಿ শুনাইলেন । বালিক স্তস্তিতহৃদয়ে বুদ্ধলীলা শ্রবণ করিল। অনাথনাথ বসস্তের সান্ধ্য নীলাকাশের দিকে চাহিয়া সাশ্রনয়নে সেই তিরোধানকাহিনী বর্ণনা করিলেন। বালিকা স্তস্তিতম্বদয়ে যেন সেই মহাদৃশু বহুক্ষণ নীরবে বসন্তের সান্ধ্য আকাশপটে অঙ্কিত দেখিল। বহুক্ষণ পরে দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিল,-“বাবা! আমার পূজনীয় বৈরাগী পিতা আমাকে কিঞ্চিৎ লেখাপড়া শিখাইয়াছিলেন । তিনি আমাকে বাঙ্গালা সুমায়ণ, মহাভারত, ভাগবতের ব্রজলীলা, চৈতন্যভাগবত, চৈতন্যমঙ্গল ও চৈতন্যচরিতামৃত পড়াইয়াছিলেন । আমি ইহার বেশী কিছুই জানি না।”

  • অ । ইহার বেশী রমণীদিগের শিথিবীর আর কিছু নাই । কিন্তু হয় ! এখানকার শিক্ষাপ্রণালী কেবল আমাদের বালকদের মুগুপাত করিয়া ক্ষান্ত হইতেছে না, বালিকাদেরও বলিদান দিতেছে। এখন বালকদের মত বালিকারাও পড়ে ছাইভস্ম ; শিখে,- না ধৰ্ম্ম, না কৰ্ম্ম । যে দেশে ঘরে ঘরে সীতা, সাবিত্ৰী, দময়ন্তী ছিল, এখন সেই দেশে ঘরে ঘরে স্থৰ্যমুখী, ভ্রমর ও কুন্নাঁদনী। রমণীর বঙ্কিম বাবুর উপন্যাসের স্বক্ষ উচ্চ শিক্ষণ বুঝিতে পারেন, শিখিতে পারে না । শিখে ঘোরতর আত্মাভিমান, স্বার্থপরতা ও পতিপ্রতি যোগিতা যাক্ সে কথা । ভা । আমি দেখিতেছি, চৈতন্তদেবের ও বুদ্ধদেবের লীলা

প্রায় এক রূপ । o " অ । খৃষ্টদেবের লীলাও তাই। র্তাহার জীবনের প্রথম ত্রিশ বৎসর কি কায়াছিলেন, কেহই জানে না। তার পর ২• আড়াই বৎসর তিনি একজন হিন্দুৰৈঃাগী ভূমি আমার গৃহে তাহার চিত্রে দেখিয়াছ, তিনিও একজন কেীপীন-উত্তরীষ্ম