পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানুমতী । , છ૦ ভা। ওঁদেব বলতেন, ব্রজলীলার মত শিক্ষার এমন সঙ্গে ও মধুর উপায় আৰু নাই। তিনি অনেক ব্ৰাহ্ম ও ইংরাজিওয়াল বাবুর সঙ্গে এ বিষয়ে তর্ক করিতেন। আমি কাছে বসিয়া শুনিতাম। বাবুর কৃষ্ণের বড়ই নিল করিতেন। - , অ। আমিও করিতাম। একদিন একটি ঘটনায় ইংরাজী শিক্ষার ও সভ্যতার তাবরণ আমার চক্ষু হইতে খসিয়া পড়ে। রথের সময়ে নবযৌবনের’ মেলার দিন শ্ৰীক্ষেত্রে জগন্নাথদেলের দর্শন-মন্দিরের দক্ষিণ পাশ্বঃ একটি সিংহে অঙ্গ হেলাইয়া বসিয়া আছি । জলস্রোডের মত ভারতের নানাদেশীয় যাত্রীর স্রোত জগন্নাথদেব দর্শন করিয়া আনন্দে নাfচতে নাচিতে কঁদিতে কঁদিতে আত্মহারা হইয়া সেই দ্বার দিয়া বহির্গত হইতেছে । সেই ভক্তির উচ্ছ্বাসে আমার কঠিন হৃদয়ও অ’ হইয়াছে, চক্ষে অশ্র জল দেথা দিয়াছে। এমন সময়ে তোমারই মত একটি ষোড়শী কিশোরী উন্মদিনীর মত ছুটয় অসিয়া আমার গলায় পড়িয়া কঁদিতে কঁদিতে বলিল,-“অ’ মি বড় হতভাগিনী । আমি অনেক দূর হইতে আসিয়াছি। আমার ভাগ্যে জগন্নাথদর্শন ঘটল না। ভূমি । আমাকে জগন্নাথদর্শন করাও।” তাহার. বসন বিশৃঙ্খল হইয়াছে। তাহ অশ্রুজলে আমার বক্ষ ভাসিতেছে, তাহার ভক্রির উচ্ছ্বসে আমিও কঁদিতে লাগিলাম। বলিলাম,-তুমি আমার গলা ছাড়িয়া দাও। আমি তোমাকে সঙ্গে লইয়। জগন্নাথ দেখাইতেছি।” কিন্তু তাহার বাহ্যজ্ঞান নাই। তাহার কেবল একমাত্র প্রগাপের মত কথা— *আমি বড় অভাগিনী, আমার ভাগ্যে জগন্নাথ-দর্শন ঘটিল না।" এক জন কনেষ্টবল আমাৰ আজ্ঞামতে আমার গ্রীবার পশ্চাৎ ইতে তাহার মুষ্টি খুলিয়া দিলে, আমি তাহকে শবং জড়াইয়া লইয়া যাত্রীদের প্রোন্ত বন্ধ বরিয়া প্রক্ষিরে