পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৫৬ - নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী। গৃহের প্রত্যেক সজ্জা ও উপকরণ ৰেন জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, “ভানুমতী কোথায় ?” তিনি বাতায়নপথে পুরোস্তান, নীলমণিমালানিও গিরিগর্ভস্থ কর্ণফুলী ও বৃক্ষসমাচ্ছন্ন উপবন সদৃশ গিরিপদতলস্থ গ্রামসমূহ দেখিতে লাগিলেন,– সকলই যেন তাহাকে জিজ্ঞাসা করিতেছিল,—“ভানুমতী কোথায় ?” তাহার হৃৎকম্প হইল। তিনি ভানুমতীর শষ্যার উপর বক্ষ রাখিয়া নীরবে অশ্রুধর্ষণ করিয়া শষ্য সিক্ত করিলেন। হৃদয়ের বিপ্লব একটু উপশমিত হইলে তিনি শূন্তম্বদয়ে কক্ষমধ্যে দেখিতে লাগিলেন। অকস্মাৎ তাহার লিখিবার মেজের উপর তিনি যেন একখানি পত্র দেখিতে পাইলেন। তিনি উঠিয়া গিয়া দেখিলেন, পত্র ভানুমতীর সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখিত, এবং শিরোনামায় তাহার নাম । বিদ্যুৎবেগে পত্রের আবরণ ছিন্ন করিয়া তিনি পড়িতে লাগিলেন,— - 馨 “বাব ! আজি তোমাকে আমার অতীত কাহিনী কহিব । সে সময় উপস্থিত হইয়াছে । শৈশবে কি ছিলাম, কোথায় ছিলাম, মনে নাই । এইমাত্র স্মরণ আছে, বৈরাগী পিতা ও বৈরাগিণী মাতার বড় স্নেহভাগিনী ছিলাম। তখন আমার নাম ছিল স্বর্ণ। উfহীদের সঙ্গে নানা স্থানে বেড়াইয় গান গাইবা শৈশৰ বড় মুখে কাটাইয়াছি। অষ্টম বর্ষ বয়সে আমার স্নেহপ্রতিম করুণামী বৈরাগিণী মাত আমাকে বক্ষে লইয়া কৃষ্ণনাম গাইতে গাইতে বৈকুণ্ঠে চলিয়া যান। তাহাতে আমার ক্ষুদ্র হৃদয় একেবারে ভজিয়া পড়ে। বহুকাল মাতার জন্যে, কি সময়-কাদিতাম, পিতার সমুদয় সাখন এই শোকশ্রেীতে ভাসিয়া পূণ্যবতী জননীর অনুসরণ করেন। রাজনগর গ্রামে একটি ,