পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২২ ৷ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । আর কত লিখিব। জয়পুরে দু'দিন রাজভোগ খাইয়াছি, রাজার গাড়ীতে ও হাতীতে রাজার মত সন্মানেসাজ্য পরিদর্শন করিয়ছি। মহারাজ যদিও তখন জয়পুরে ছিলেন না, তথাপি রোজ সংসার বাবুর বাড়ীতে রাজার পাকশাল হইতে আহারীয় আসিত। রান্নাতে ঝালটুকু যেন বেশি । ভারতীয় ब्राछाई निन দিন ইংরাজ পলিটিকেল দ্বারা স্বেরূপ অপমানিত হন, ঝুলি খাইয়াই সেই ঝাল নিবারণ করেন । এক দিন মহারাজ গবর্ণরজেনেরেলের ইভিনিং পার্টতে গিয়াছেন। আমাদের দেশের এক জন বিলাসী, ইংরাজপছন্দ, সাহেবী ধরণের মহারাজকে, সেখানে জরীপান করিতে ও কেক খাইতে দেখিয়া, ংসার বা কে বলিলেন, "ইহার বাড়ীতে কি খাওয়া মেন্সে না ? এখানে ঝুটা খাইয় বেড়াইতেছে কেন ?” পুষ্কর। কাল প্রাতে আজমীর পহুছিয়া পুষ্কর দেখিতে যাই। পুষ্কর যেমন মনে করিয়াছিলাম, তেমন কিছুই নহে। গোবৰ্দ্ধনের মত একটি নৈসর্গিক সরোবর মনে কর । গোবৰ্দ্ধন হইতে কিঞ্চিৎ বড় হইলেও, দেখিতে তেমন মনোহর নহে। সেইরূপ একটি বিল। তাহার দুই পর্শ্বে সারি পারি অট্টালিকা। জন্ত ই দিকে অট্টালিকাশ্রেণী কিছু বিরল। কিঞ্চিৎ দূরে, চারি দিকে রঞ্জিগিরের পাহাড়ের মত পাহাড় তরঙ্গিত ভাবে নীরবে দাড়াইঃ রহিয়াছে । জলের