পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসের পত্র । । ১৯২৩ ৷ বর্ণ নীল, কিন্তু এত ময়ল ম্বে, ব্রহ্ম। তাহার যজ্ঞের উপযোগী মনে করিয়াথাকিলেও, ঘাঁ তাহা কোনও মতে স্পর্শ করিতে মনে প্রবৃত্তি জন্মাইতে পারলাম না। তারাচরণ পাট ডু দিয়াছেন, যদি কিছু পুণ্য হইয়া থাকে, অবশু আমি তাহার অংশ পাইব । কারণ তারাচরণ আমাকে যেরূপ ভালবাসে, স্বর্গের ভাগ দিতেও কখন কাতর হইবে না । পুষ্করের মধ্যস্থলে, একখানি উপলখণ্ডের উপর, জনৈক মকর মহাশয় নিদ্র। যাইতেছিলেন, কি তপস্ত করিতেছিলেন, বলিতে পারি না । ধজ্ঞ-জলে র্তাহারও যেন অতৃপ্তি হইয়াছে, কারণ আমরা যতক্ষণ ছিলাম, ততক্ষণ তিনি নিশ্চল ছিলেন ; একটি বারও জলে নামিলেন না । পুষ্কর দর্শন করিয়া, একখানি ক্ষুদ্র খাটুলি চড়িয়া, সাৰিত্ৰী দেবীর দর্শনলাভ করিতে পার্শ্ববৰ্ত্তী পৰ্ব্বতে আরোহণ করি। খাটুলি সামান্ত দড়ির বন্ধন, স্থানে স্থানে ঠক ঠক করিয়া পাথরে লাগিন্তেছিল, আর আমি ভাবিতেছিলাম, ভারতভ্রমণ বুঝি এই খানেই শেষ হইল। প্রয় এক ঘণ্টাকাল আরোহণ করিবার পর, আমরা মন্দিরে উপস্থিত হইলাম। একটি ক্ষুদ্র মন্দির। জুট শ্বেত প্রস্তবের মূৰ্ত্তি—সাবিত্রী ও সরস্বতী । দুটি মূৰ্ত্তই যেন জৈন বলিয়। বোধ হইল। পৰ্বতশেখর হইতে দৃশুটি মনোহর, কিন্তু কঠোর। শ্রেণীর পর শ্রেণী বাধিয়া বন্ধুর পর্বতমালা শোভা পাইতেছে । মধ্যে মধ্যে মাড়োয়ারের বন্ধুর উপত্যক, কোথাও বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রামে ও শস্তক্ষেত্রে বিচিত্রিত। পাদমূলে পুষ্কর ও বাণীতীরস্থিত নগর, শ্বেত পুষ্পে পুম্পিত, একটি মনোহর উষ্ঠানের মত শোভা পাইতেছে। কিন্তু, চন্দ্রশেখরের দৃপ্তের কাছে ইহা কিছুই নহে। • > *:: - অবতরণসময়ে ব্ৰক্ষার মন্দির দর্শন করি। লোকটি নিতান্ত স্বরসিক ছিলেন না, তাহারও শুক্লপক্ষের ঃ কৃষ্ণপক্ষের দুই