পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2వ లిపి নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী। যোধপুর। ভগবানের রূপায়, বড় মুখে বড় সম্মানে, যোধপুর দর্শন করিয়া আসিলাম। কাল যে কার্ড লিথিয়ছি, তাহাতে জানিয়াছ, যোধপুরের এলিষ্টাণ্ট সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট পণ্ডিত জীবনদের সহিত লাহোর যাইবার সময়ে রেলে সাক্ষাৎ হয়। আর একটি লোক অম্বালার কমিশরিয়েটর ছিলেন । অৰ্দ্ধ ঘণ্টার আলাপের পর, র্তাহারা এত প্রীত হন যে, উভয়ে আমাকে অখাল ও যোধপুরে যাইতে নিত্যস্ত অনুরোধ করেন। অম্বালায় যাইতে পরিলাম না । যোধপুরে পণ্ডিত জীবানন্দের কাছে টেলিগ্রাফ করি । ষ্টেসান পৌঁছিয়া দেখি, রাজার বাঙ্গালী কৰ্ম্মচারী বাৰু হরিশচন্দ্র মিত্র, মাত্রাজ এথনিয়ম’ পত্রিকার ভূতপূর্ব সম্পাদক, আমার অপেক্ষা করিতেছেন। পণ্ডিতের বাড়ী পহুছিয়া দেখি, আমার অভ্যর্থনার জন্ধে একটি কক্ষ স্বনােররূপে সজ্জিত করিয়া রাখিয়াছেন । তিনি এবং রাজার স্বপারিন্টেণ্ডেণ্ট হরদয়াল সিংহ-ইনি কাউদেলেরও মেম্বর-এক বাড়ীতে থাকেন। ইহারা দু’জন যে কি আদর করিলেন, বণিতে পারি না। দুই বেল পরিপাটী আহার । বসিতে হয় আপনে, কিন্তু খাল থ কে একখানি অতি স্থণার চৌকির উপর। খাল রূপায়, তাহার উপর সমুন্ন রূপার বাট সাজান বহিছে। চামচ দিয়া তৎকার লইয়া খাইতে হয়। রায় পঞ্জাৰী ধরণের। কারণ, ইহারা পঞ্জাবী। . - সন্ধ্যার সময়ে, হরদয়াল ৱিংছ আমাকে সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়া রাজার ভ্রাতা ও মন্ত্রী কর্ণেল সার প্রতাপ সিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করান। আমরা জনিতাম যে, কেবল নরাধম সিবিলিয়ানগুলোই বুদ্ধি খোসামুদির প্রিয়। কিন্তু দেখিলাম, এ রাজাদের কাছে তাহার কোথায় লাগে ! হরদয়াল সিংহ আমাকে ইহার ইঙ্গিত