পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

嵩 প্রবাসের পত্র । 338) বা গিরিমায়ু দুর্লভা প্রাচীরবৎ শোভা পাইতেছে। এই গিরিশ্রেণীই আমাদের কবিকল্পনার সম্বল "মলয়াচল’। এই শৈল সমাচ্ছন্ন তীর হইতে জিহ্বার মত একটা ভূমিখণ্ড সমুদ্রবক্ষে ভাসমান। খামার ৰিহা রক্তবর্ণ। গ্রাম তারতমাতার দিহা শ্রামপত্র-সমাচ্ছন্ন সৌধ ও শৈলমালায় উদ্যানবৎ শোভিত । গুমার জিহবার চারিদিকে রক্ত-ফোট। চিত্রিত হইয়া থাকে । এ গ্রাম জিহবার চারিদিকে ফোটার মত ক্ষুদ্র শৈল-দ্বীপরাশি নীল সমুদ্রগর্ভে শোভা পাইতেছে। এখন বুঝিলে, বোম্বাই কি মনোহর উপদ্বীপ ? ইহার তিন দিকে সমুদ্র পরিখার মত বেষ্টন করিয়া রহিয়াছে। এ সমুদ্রে তরঙ্গ, নাই, লহরী নাই, গর্জন নাই । শাস্ত, স্থির, নীরব। যেন একখানি অনন্ত নীল আরপি পড়িয়া রহিয়ছে, তাহার মধ্যে মধ্যে এক একটী ক্ষুত্র দ্বীপ যেন একু একটা মুন্ধর ফুলের মত শোভা পাইতেছে। বোম্বাইর উভয় পার্শ্বে নানা স্থানে সমুদ্র-শাখা ভূমিমধ্যে প্রবেশ করিয়াছে। এ সকল শাখার উপর দিয়া রেলওয়ের দীর্ঘ সেতু নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। গাড়ী এই সলিল রাশির উপর দিয়া, উভয় পার্শ্বে স্বপ রি, তাল, নারিকেল, খঞ্জুর বৃক্ষশোভিত গিরিমালার মধ্য দিয়া চলিয়া যাইতে, কি চঞ্চল চিত্ত-বিনোদন প্রাকৃতিক শোভাই প্রাণ মন মোভি করিয়া দেয় । ** আমরা প্রথমেই জিহ্বার অগ্রভাগৰ পৰ্ব্বতস্থিত ইংৰাজf বসতিস্থান দেখিতে ষাই । এই পৰ্ব্বতটর নাম “মেলেবার হিল,তাহার প্রাপ্ত সীমাগ্রে শৈবালসমাবৃত হংসের স্থায়, বোম্বাইয়ের গবর্ণরের রাজপ্রাসাদ সমূত্রে ভুলিতেছে। এই পৰ্ব্বতটা ইংরাজদিগের গৃহাবলীতে সমাচ্ছন্ন। উভয় পার্শ্বের সমুদ্র সকল গৃহ হইতে দেখা যায় ; পৰ্ব্বতটর সর্বত্রে পখমালা এরূপ বিচিত্র কৌশলে নিধি হইয়াছে যে, সকল দিকে গী চলিয়া মায়।