পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসের পত্র । , >。やが。 কুষ্মাগু হইয় পড়ে। যৌবনের প্রারস্তে বৃদ্ধl, ফুল ফুটিতে না ছুটিতেই ঝরিয়া পড়ে। * পতিপত্নীর জীবনের মুখ অষ্টুরে বিনষ্ট হয় ; তাহা ছাড়া সস্তানের ক্ষীণপ্ৰাণ, ও রোগগ্রস্ত হইয়া, পিতা মাতার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করে। ভগবান' কতদিনে সমাজকে এ পাপের করাল গ্রাস হইতে বৃক্ষ করিবেন, তাহা তিনিই জানেন । , সন্ধার কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্বে আহার কারতে বসিলাম। সম্মুখে পাতা দেখিয়া আমি হাঁসিতেছি দেখিয়া, স্বনী তাহ উঠাইয়া লইয়া আমাকে একথানি থালা দিলেন। আমরা খাইতে বসিলাম । সুন্দরী পরিবেশন করিয়া সম্মুখে বলিখা আমার সঙ্গে আলাপ আরম্ভ করিলেন । এ আলাপ “সীতা নাড়ে হাত, বানরে নড়ে মাথা ।” তিনি হিন্দি বুঝেন না, আমি মহারাষ্ট্রীয় বুঝি না। প্রেমিক খুড়া গাইয়াছেন— . . “নযুনে নয়নে যদি হৃদয়ে হৃদয়ে, বালির বাধে রোধুে কি হে অসীম সলিলে ?” ੋਕੜ হৃদয় যদি কথা কহিতে চাহে, ভাষা তাহার প্রতিবন্ধকতা করিতে পারে না । আমরা নয়নে নয়নে, হৃদয়ে হৃদয়ে কথা কহিত্তে লাগিলাম। ঠাকুরাণীটির নাম অম্বা। সন্তানের কথা জিজ্ঞাস কহিলে দীর্ঘ নিশ্বাস কেলিয়া বলিলেন, “নারায়ণ না দিলে কি করিব ?” আমি বলিলাম, নারায়ণের দিবার এখনও বিতৰ সময় পড়িয়া আছে। তিনি আমার নাম ধাম, সৰ্ব্ব শেষ নদীর কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন। আমি লক্ষ্মী-ছাড়া, হইয়া আসিয়াছি কেন, তাহারও কৈফিয়ৎ চাছিলেন। পুত্রটর কথাও অনেক জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি পা ছড়াইয়া সম্মুখে বসিয়া এক্ষপে ঈষৎ হাসিয়া হাসিয়া, প্রীতিবিশ্বাধিত