পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুরুক্ষেত্র। . 38. আবার কারুর কব ধরি দুই করে ভদ্র জিজ্ঞাসিল,— সেই কণ্ঠ সিক্ত করুণায়,— “কি দারুণ মনস্তাপ বহিছে হৃদয়ে আহা ! কহিবে কি ? ভগ্নী আমি, কহ না অামায় ? জান, এক নদীস্রোত বহিলে দ্বিতীয় পথে, “ হয় পূৰ্ব্ব স্রোন্তেবেগ মৃদ্ধ, মৃত্নতর। দুঃখের করিলে অংশী হয় দুঃখ প্রশমিত, শোকে সম-হৃদয়তা বড় শাস্তিকর । রমণীর প্রাণে, প্রাণ মিশাইব রমণীর, তৈামার আশ্রতে অশ্রু করিব বর্ষণ। হৃদয়ের রক্ত দিয়া পারি যদি মুছাইতে এক বিন্দু, হবে মম সার্থক জীবন।” কারুর হৃদয় দৃঢ় শিলা-বাধা সরোবর পরশিল এই স্নেহ, তুলিল উচ্ছ্বাস ; , অন্ধকারে অশ্রদ্ধার বহে বেগে অবিরল, কহিতে লাগিল কারু ছাড়িয়া নিশ্বাস,“ভগিনি । তোমার স্নেহ, তোমার পরশ-ক্ষুধ, . যেন মরুভূমে হায় । জল স্থশীতল, পশিছে হৃদয়ে মম ; কিন্তু এই মরুভূমে প্রবেশি হইবে ভূমি উত্তপ্ত কেবল । ভগিনি!! আমার দুঃখ, রমণীর মৰ্ম্মব্যথা, রমণীর প্রাণে নাহি সহিবে তোমার ; ভগিনি । আমার ছঃখ রমণীর মহাদুঃখ, ততোধিক রমণীর ছঃখ নাহি আর! সংসারের যত দুখ-রোগ ভিক্ষ, উপবাস, পদাঘা, অসিধার, রমণীর প্রাণ