পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশরঞ্জিনী । ج لا نيلا প্রাচী মরুভূমি—পস্থাহীন, বারিহীন, পদতলে প্রজ্বলিত বালুকা-অনল ; তৃষ্ণাগ্নি হৃদয়ে ; শিরে উল্কা রাশি রাশি, শক্ৰ-শস্ত্র-বিনির্গত, হতেছে বর্ষণ ; তবু অতিক্রমি হেন স্তর প্রাস্তর বীরভার, উড়াইয়া ইন্দ্রজালে যেন, শত্ৰু-সৈন্তচয়, শুষ্ক পত্ররাশি যেন ভীম প্রভঞ্জনে হায় ! প্রবেশিল যবে দিগ্বিজয়ী রোম-সৈন্ত মিশর নগরে ? লতা ও তরু তৃণ দলিয়া চরণে, পশে গজমূৰ্থ যথা কমল-কাননে । বিজয়ী বীরেন্দ্র-ব্যুহ-নগর-প্রবেশ নিরখিতে, বসেছিনু অলিদে বিষাদে, চিত্ত কৌতুহলময় ! পদতলে মম প্লাবিয়া প্রশস্ত পথ, সৈন্ত্যের প্রবাহ প্রবাহিত ; দেখিলাম,—আর নাহি সখি ! ফিরিল নয়ন মম ; ডুৰিল মানস সেই প্রবাহ-ভিতরে । (৯) যোড়শ বর্ষীয়া সেই বালিকী-হৃদয়ে, অজ্ঞাতে, কি ভাব প্রবেশিল, অভিনব ; হেন ভাব সখি ! কি পূৰ্ব্বে, কি পরে, শৈশবে, যৌবনে, আর ত কখন করি নাই অনুভব । (৯) যখন মিশরের পূর্বারণ্য অতিক্ৰম করিয়া প্রথম বার এণ্টনি রোম-সেনার অধিনায়ক হইয়। মিশরে প্রবেশ করেন, তখ তিনি ক্লিওপেট্রার নয়ন-পথের পথিক হইয়াছিলেন।