পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশরঞ্জিনী । లిలిసి দেখিয় শার্ল ল এক,—ভীষণ-আকৃতি – নিবিড় অরণ্যে মম ধাইছে পশ্চাতে, বিস্তারিয়া মুখ ! ত্রিাহি ত্ৰাহি!—বলি আমি চাহিনু আকাশ-পনৈ । দেখিলাম সখি ! অপূৰ্ব্ব তপন এবে উদিল গগনে উজ্জ্বলিয়া দশ দিশ । করে আকৰ্ষিয় সেই মৰ্ত্তও আমারে তুলিল আকাশে, সখি ! আমি শোভিলাম শশধর- রূপে বামে সখিতার। হায় এমন সময়ে অকস্মাৎ রাহু আসি গ্রাসিল তাহারে । হইয়া আশ্রয়হীন আমি অভাগিনী পড়িতেছিলাম বেগে, অৰ্দ্ধ পথে সখি ! বীর-সুর্য্য অন্ত জন, হৃদয় পাতিয়া, লইল আমারে । আমি আনন্দে মাতিয়া, পরাইকু প্রেম-হার গলায় তাহার । কিন্তু কি কুক্ষণে হায় ! বলিতে না পারি ? সে হার-পরশে বীর হৃদয় তাহার,— ফাটিত যে উরস্ত্রাণ রণরঙ্গে মাতি ;– হইল বিলাসে যেন নারী সুকুমারী ! পিধান হইতে অসি পড়িল খসিয়া, (আরতি মস্তকে ভিন্ন, নামে নাহি যাহা,) কুসুম শয্যায় । শেষে মাথার মুকুট, পড়িল খসিয়া ঐ ভূমধ্য-সাগরে, অস্তগামী রবি যেন ! কি বলিব আর, যেই বক্ষে অরণতির অসংখ্য কৃপণ গিয়াছে ভাঙ্গিয়া,—যেন প্রচও শিলায়