পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশরঞ্জিনী । Sጫግ অপরাহু বেলা । দৃশু সমুদ্রের তীর । দুজনে বিজনে বসি । জলধির নীর তরঙ্গে তরঙ্গে আসি গৰ্জ্জিয়া, ঢালিয়া তরল রজত রাশি, যইছে সরিয়া । ফেণ-শীর্ষ উৰ্ম্মিমল মধ্য পরিবারে, কি রঙ্গ করিছে বক্ষে লয়ে সবিতারে । সিন্দূরমণ্ডিত যেন সুবর্ণ-কলসী, শোভিছে ভাস্কর সিন্ধু নীলিম ঝলসি । কথায় কথায় তুমি করি অভিমান, বলিলে প্রণয় তব সমুদ্র সমান । তেমতি অনন্ত, প্রেম তেমতি গম্ভীর, তেমতি অমর ! বুঝি তেমতি অস্থির’— বলিলাম আমি—‘পূর্ণ জোয়ারে এখন, কে জানে ভাটায় কোথা হইবে পতন ' সুমণীর অভিমানে ভরিল বদন দলিত ফণিনী মত বলিলে তখন-- “অবিশ্বাস-ভালবাসা পদ্মপত্র জল । এই আছে, এই নাই, নিরাশা কেবল ’ কর হতে কর পদ্ম করিয়া মোচন । অভিমানে প্রবেশিলে কুসুম-কানন । অভিমানে বেলা ভূমে রহিমু গুইয়া, সিন্দূর কলসী গেল সমুদ্রে ডুবিয়া। পশিয়া কুসুম বনে দেখি একাকিনী গাঁথিতেছে এই মালা বসি বিষাদিনী । নীলোৎপল-ভ্রষ্ট মুক্ত চুম্বি রক্তোৎপল সিক্ত করিতেছে চার কুসুমের দল ।