পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৬২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

q 8b- নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । এই মনোহারিত্বও সেই প্রকারের নহে। যদি কোন প্রতিভাশালী চিত্রকর বিষাদের প্রতিমূৰ্ত্তি অকিয় তুলিতে সমর্থ হইতেন, এবং সেই মূৰ্ত্তিতে আতঙ্ক ও আশা এষ্ট উভয়ের বিরোধ এবং শোকের মলিনত ভালরূপে ফলাইতে পারিতেন, তবে তাহাকেষ্ট ইহার উপমস্থল বলিয়া নির্দেশ করিতাম। পড়িবার সময় প্রতীতি হয়, যেন প্রকৃতি আপনি আসিয়া আজন্মদুঃখিনী বঙ্গভূমির দুঃথে করুণকণ্ঠে বিলাপ করিতেছেন, আর সমস্ত সংসার ভয়ে, বিস্ময়ে এবং শোকভরে স্তম্ভিত হইয়া অনন্তমনে ও অনন্তকর্ণে সেই বিক্ষপ শ্রবণ করিতেছে। .. দিগন্তব্যাপী অন্ধকারের বর্ণনায় এই অংশে একটি আশ্চৰ্য্য পংক্তি কবির লেখনী হইতে হঠাৎ স্থলিত হইয়াছে ;– তিমিরে অনন্তকায় শূন্ত ধরাতল’. wo সংস্কৃতে অনুবাদ করিলে এই পংক্তিটিকে মহাকবি ভারবির নিম্নেস্থত প্রসিদ্ধ শ্লোকদ্ধের সঙ্গে অকুতোভয়ে গাঁথিয় দেওয়া যাইতে পারে। "ভবতি দীপ্তিরদীপিতকদের তিমির সংবলিতের বিবস্বতঃ ” এই সর্গের মধ্যে কিছু দূরে প্রবিষ্ট হইলে যবন-নিপাতের নিদানীভূত ভারতবিখ্যাত জগৎশেঠের নিভৃত মন্ত্রভবন। এই মন্ত্রণাচিত্রে অনুকৃতির কিঞ্চিং ছায়া আছে।N যাহারা মিন্টনের স্বর্গভ্রংশ কাব্যের দ্বিতীয় সর্গে পণ্ডিমেনি মের সেই লোমহর্ষণ বর্ণনা পাঠ করিয়াছেন, তাহাদিগের নি ইহা বিস্ময়কর কি বিচিত্র বোধ না হটতে পারে। কিন্তু অক্ষতি ছায়া আছে বলিয়াই যে ইহা কোন প্রকারে অশের কারণ ই স্বাছে, এমন নহে। আলে, পলাশির যুদ্ধে এই অংশ অপীি হাৰ্য্য। এটুকু ছাড়িয়া দিলে ইতিহাসকে লঙ্ঘন করা হ