পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ł& R নবীনচন্দ্রের “বৃটিশের রণবাদ্য বাজে ঝম্ ঝম্‌ হইতেছে পদাতিক-পদ সঞ্চলন তালে তালে, বাজে অস্ত্র ঋনন ঋনন, ক্ৰেষিছে তুরঙ্গ রঙ্গে, গৰ্জিছে বারণ। থেকে থেকে বীর-কণ্ঠ সৈনিকের স্বরে ঘুরিছে ফিরিছে সৈন্ত, ভূজঙ্গ ধেমতি সাপুড়িয়া-মন্ত্র-বলে ; কভু অস্ত্র করে ; কতু স্বন্ধে ; পীরপদ ; কছু দ্রুতগতি । ডিমের ঝঝ র রব, বিপুল ঝঙ্কার, বিজ্ঞাপিছে বৃটিশের বীর অহঙ্কার ” এই সর্গে সমরোমুখ-সৈনিকদিগের মনের ভাব আঁকিতে যাইয়! কবি মধ্যস্থলে অশার যে একটা ‘বন্দনা করিয়াছেন, তাহ বহুকল স্মরণ থাকিলে । এষ্ট বন্দনাটিকে স্কটলও দেশীয় প্রসিদ্ধ কবি ক্যাম্বেলের আশা নামক কবিতার সহিত মিলাইয় পড়িলে পাঠকবর্গ নিরতিশয় অনিল অনুভব করিবেন । ক্যাম্বেলের আশা পৃথীলোক পরিত্যাগ করিয়া উদ্ধতম গগনে বিচরণ করে ; নবীন বাবুর আশা স্নেহগদগদ প্রিযুকণ্ঠের স্তায় হৃদয়ের রন্ধে সঞ্চরণ করিয়া প্রাণ মন কাড়িয়া লয়। দুষ্টটিষ্ট সুন্দর ও মুখদর্শন ; কিন্তু একটি মধ্যাহসুৰ্য্যের খরজ্যোতি ; আর একটি লঘুমেঘাবৃত চন্দ্ৰমা শীতল ক্লাস্তি ; একটি স্বদুৰ্ববৰ্ত্তিনী, আর একটি মৰ্ম্মস্পার্শনী। যিনি বৃটিশ-সেনার প্রাণ, পলাশি-যুদ্ধের প্রধান নায়ক এবং ভারতের ইংরাজ-রাজমহিমার প্রথম প্রতিষ্ঠাতা, সেই চিরবিশ্রাতনামা দুৰ্দ্ধৰ্ষ প্রকৃতি ক্লাইবের সহিত এতক্ষণ কাহারও সাক্ষাৎ হয় নাই । তিনি কোথায় ছিলেন, কেন বঙ্গে আসিলেন, এবং বঙ্গে আসিয়াই বা আজি কি কারণে কাটোয়া-শিবিরে তরুতলে একাকী গভীর চিস্তায় নিমগ্ন, কবি আখ্যায়িকার প্রচলিত রীতানুসারে ইতঃপূৰ্ব্বে তাহার কিছুই