পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী । ●*● ব্যথিত সৰ্ব্বাঙ্গ এবে, যেই দিকে যাই, অগম্য সকল,—নদী-আকাশ-কানন । সন্ধ্য সমাগত প্রায় । বহুল রজনী এগনি করিবে দৃশ্ব আরো ভয়ঙ্কর ! রজনী সম্মুখ করি, পশিব কেমনে নিবিড় কানুন মাঝে,—হিংস্র জন্তু বাস ;– জনহীন, পন্থহীন । দিবসে যাহার প্রাণাস্তে নিকটে কন্তু নাহি যায়ু কেহ ! তাহে আমি অসহায় ! ডুবিয়াছে হামু ক্ষরের কৃপণৰ মম, অঙ্গের দোসর শঙ্কর, তটিনীগর্ভে !—এমন সময়ে অমূল্য উভয় ! কিংবা পশিয়া কানলে, সিংহ, ব্যাঘ্র ভয়কের হইয়া অতিথি, লভিব কি ফস ? সন্ধ্যা হইলে অতীত, ! এখানেই তাহদের-শমন-কিঙ্কর রূপে,—পাব দরশন ! অধোমুখে বসি যুবা, চিন্তি কিছুক্ষণ, তুলিলা মস্তক । একি স্বপ্ন ভঙ্গ ?—মূব ভাৰিলা অন্তরে । দেখিলা তখন,-সাঙ্গ ভৌতিক সংগ্রাম । বৃণাস্তে প্রকৃতি দেবী লভি’ছে বিশ্রাম ; শাস্ত নদী,–শাস্ত বন,–শাস্ত প্রভঞ্জন ! মেঘমুক্ত দিনমণি,—দেপিলা যুবক— নদীর পশ্চিম তীরে, বনরাজি শিরে, জলিছে,-নিৰ্ব্বাণোন্মুখ অনল যেমন ! কিন্তু জলধর কারাবাসে হীনতেজ