পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী । ত্যজিয়া পৰ্য্যঙ্কাসন, বীরেন্দ্র-কেশরী’ ভ্ৰমিতে লাগিল ধীরে, অবনত মুখে, অন্তমনে, সন্ধ্যালোকে শিবির ভিতরে । “দাড়াইয়া শয্যাপার্শ্বে, কিছুক্ষণ পরে, বিস্ফারিত নেত্রে চাহি মম মুখ পানে, বলিতে লাগিলা শূর-বীরেন্দ্র ! তোমার; অন্তরের ভাব আমি বুঝেছি সকল । দক্ষ্য আমি, বন্দী তুমি শিবিরে আমার, এই হেতু ভয়—কিংবা বীরবর তুমি, ঘৃণা,—তব মনে আজি হইল সঞ্চার দম্য শিবজীর নামে। বীরেন্দ্র । শিবঞ্জী দস্থ্য, শিবঙ্গী তস্কর ; কিন্তু আর্য্যরক্ত সেই শিবঙ্গী-শিরায় বহিছে বিদ্যুতবেগে "সেই খর স্রোত নিবারে কেমনে ? আর্য্যের সন্তান মোরা হয় । আমাদের অদৃষ্টে দক্ষ্যত্ব—লিপি লিখিলা বিধাতা! আর ওই নৃশংসয় দস্থ্যর সস্তান, পিতৃদ্বেষী, ভ্রাতৃহস্ত, পাপী আরঙ্গজীব, আজি সে ভারত-পতি দিল্লীর ঈশ্বর ! বীরেন্দ্ৰ ! বীরেন্দ্র ! করে এই করবাল থাকিতে কেমনে,-হায় ! থাকিতে কেমনে বিন্দুমাত্র আর্য্যরক্ত শিবজী শরীরে,— সহিব এ অপমান ? চল যাই সবে । ওই নীলাচল-শিলা বধিয়া গলায়, ঝাপ দিয়া সিন্ধুজলে, হায় রে ; ডুবাই এই আঁৰ্য্যনাম, এই তীব্র পরিতাপ ।