পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতা । ৬৭৫ শত মহার্ণব যেন মহাপ্রভঞ্জনে । বিস্তৃত সলিল ধারা শোভিতেছে যেন বিশাল স্ফটিক স্তম্ভ ভাস্কর-কিরণে । প্রপাতের প্রতিঘাতে সফেন সলিলে খেলিতেছে গিরিমূলে অসংখ্য ফোয়ারা, উৎক্ষেপিয়া বারিবিন্দু—শ্বেত পুষ্পরাশি । গিরিমূলে যেন শত পুষ্প-প্রস্রবণ— উঠিছে ফুটিছে ফুল, পড়িছে, মিশিছে । জলদেবী মরি যেন রজত আধারে, দুর হতে বোধ হয়, রেখেছে সাজায়ে তরল রজত পুপঞ্চার মনোহর, পূজিতে প্রপাত পদ সগিল-কণায় গিরিতলে বহুদূর অশ্রাস্ত বরিষা। "শ্বেত রক্ত ক্ষুদ্র মীন ঝণকে ঝণকে ঝণকে খেলিছে নিৰ্ভয়ে সেই বারি ৰিলে{ড়নে বিকাশি অপূৰ্ব্ব শোভা । বীরেন্দ্র সে ক্রীড়া দেখিয়া দেখিয়া, রণ-শ্রাস্ত ক্ষত দেহ প্রক্ষালিছে, ভাবিতেছে সন্দিগ্ধ হৃদয়ে প্রভাত ঘটনাচয় । ভাবিতেছে মনে কত দিনে শিবঙ্গীর সমর-প্রবাহ । উত্তরিবে সিংহনাদে বিন্ধ্যাচল হতে সমতল বঙ্গভূমে, ওই প্রপাতের মত ; কত দিনে মহারাষ্ট্রীয় কেতন উড়িৰে গরবে বঙ্গে—স্বাধীন সোহাগে ; আবার হালিবে বঙ্গ ; বিধৰ্ম্মী শোণিতে নিবাইবে মনস্তাপ । কত দিনে আর