পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী । ❖ዓፄ এ কি অঙ্গে, এ কি যেন চন্দনের ধারা ?” যুবকে বেড়িয়া প্রৌঢ় কঁদিতে লাগিল— “হায় রে শৈশবে তোরে কোলে কোলে আমি " ` বুধিয়া ছি, অঙ্গ তোর ব্যথা পায় পাছে কোমল শয্যায়, হায় ! আজি হেন অঙ্গে কে করিল অস্ত্রাঘাত পাষাণ-হৃদয় ? অশ্রুধারা ঝরি, রক্তধারা সহ অঙ্গে বহিতে লাগিল । যুবা উত্তরিল-“পিতঃ ! হও স্থির, আজি প্রাতে দস্থ্য একজন সম্বোধিল রণে নাহি সমরে বিমুখ আমি ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ তব । পুরাইকু তার যুদ্ধসাধ, ওই বনে রহেছে পড়িয়া অস্ত্রাঘাতে বিকলাঙ্গ দস্থ্য নরাধম ; আসি জিহব। মাত্র অঙ্গে লেংগছে অ মোর । কহ পিতঃ । শুনি তব শুভ সমাচার (” মক্কট মুছিয়া অশ্র ক্ষুদ্র নেত্র হতে আরম্ভিল পুনঃ—“বংস ! দেখিয়াছি আমি, দস্থ্যপতি বেঞ্জামিন ওই বনপথে, প্রকম্পিত পূৰ্ব্ব বঙ্গ পরাক্রমে যার । তুমি কি একাকী তারে পরাজিলে রণে ? কুলের তিলক তুমি, ধন্ত শিক্ষণ তব ”— বলি আলিঙ্গিয়া মুখে চুম্বিল ললাট বীরেঞ্জের,-“হায় । বৎস আছিল বিদেশে, না জানিলা তুমি কত অত্যাচার তার । কেমনে অৰ্দ্ধেক বঙ্গ করেছে শ্মশান অগ্নিতে, অসিতে । হায়, নিশীথে অজ্ঞাতে