পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী । থেলিয়া থেলিয়া, চারু সন্ধ্যার তিমিরে, লহরী তিমিরতিব ! ক্রমে এই চিত্র যবে হ’ল নেত্রান্তর অtধারিয়া সন্ধ্যা, বিগলিত অশ্রুধারা মুছি তপস্বিনী, মায়ের প্রতিমা প্রতি ফিরাইল মুখ । দেখিল সে ললাটেন্দু,—কিরণ যাহার সহস্ৰ হীরক-প্রভা করিয়া হরণ ভাস্বর সতত,—এবে পাংশু-বিমলিন ; মিশিয়া গিয়াছে যেন গোধুলি অ ধারে । মায়ের অশিব মূৰ্ত্তি করি দরশন, অকস্মাৎ, যোগিনীর ভাঙ্গিল হৃদয় । ভূতলে আঘাতি শির কাদিতে কাদিতে কহিলা—“হে দয়াময়ি ! দেহু পদ-ছায়া অভাগিনী যুবতীরে, আহত যুবায় । তোমার চরণশ্রিত এই ৰনলতা, ছিড়িও না, অধারিয়া এই বনস্থলী হরিও না অরণ্যের অমূল্য কুসুম । কত বর্ষ বনে বনে জননি তোমার পূজিহ্ব চরণযুক্ত, দেও ভিক্ষা আজি, হে বরদে, এ দাসীরে, পূরণও বাসনা ।" দেও দাসে, কুলমাতা, দেও পদছায়া । -পদ অষ্টমী আজি, এই চন্দ্রীলোকে বিশাল পদ্মার তীরে বণিয়া বিষাদে, ছাকে মাত নিৰ্ব্বাসিত তনয় তোমার ! পদ্মার স্রোতের মত অদৃষ্টের গতি— কি সাধ্য ফিরাব তারে । চলেছি ভাসিয়া,