পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* নবীনচন্দ্রের ও স্থাবলী । ধীরে ধীরে কষ্টে যুবা মেলিলা নয়ন, দুই ধারা অশ্রু বেগে ছুটিল দুদিকে । চাহিলা তুলিতে কর, মুছাতে নয়ন, পারিল না। উচ্চারিলা অন্ধটে—“কুসুম । *আমার জীবনীরাধ্যে ”—উচ্ছ্বালিয়া বালী বলিলা কাদিয়া—“দাসী, চরণে তোমার । বৈড়াইলে দেশে দেশে যে মায়ের েপ্রদে, শিয়রে বসিয়া সেই জননী তোমার অভাগিনী ! নরাধম পিতৃব্য তোমার পাত-বিবর্জিত বলি সতী সাবিত্রীরে এসেছিলা বিসর্জিয় নিবিড় কাননে।” স্নেহ দর দর নেত্রে সেই মুখ পানে বারেক দেখিলা যুবা ; বীরেক ফুটিল অর্কুট “মা” কথা। রহিল নয়ন চাঙ্গি সেই অধোমুখে ; দেখিলা কুমুম নয়নে পলক নাহি পড়িল আবার । চাহিতে চাহিতে ধীরে অন্যথা বলার পড়িল অবশ শিল্প বক্ষে প্রণয়ীর— পূরিল জীবন আশা, নয়ন-পল্লব আসিল মুদিয়া ধীরে ; ধীরে সন্ধ্যাগমে নীরবে মুদিল দল যুগল কমল ; নিদ্রা গেলা কুমুমিক{ । হায় ! এক স্বস্তে ফুটে ছিল দুটা ফুল সংসার কাননে ? এক সঙ্গে যুটী ফুল পড়িল ঝরিয়া। এখন পবিত্র ফুল এমন নিৰ্ম্মল, এমন স্বন্দর, যদি থাকিত ফুটিয়া, .