পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রৈবতক কাব্য । *や@な গম্ভীর ওঁকার ধ্বনি প্লাবিল গগন, ভাসিল সমুদ্র মঞ্জে, উচ্ছ্বাসে উচ্ছ্বাসে ছুটিল তরঙ্গপৃষ্ঠে দিগ দিগন্তরে। উদ্ধে মহাশূন্তে, মহ জলধি হৃদয়ে, সেই মহাধ্বনি য়হ শত শঙ্খধ্বনি, ভাসিল সমুদ্রবাহী প্রভাত অনিলে। । শঙ্খকণ্ঠ, সিন্ধুকণ্ঠ, নরঙ্কণ্ঠ মিলি, সেই ধ্বনি, সেই ধ্যান, সে ঘৃত মহান ! অনস্ত অচিস্ত্য ভাবে ভরিল হৃদয় । ধ্যানাস্তে কুৰ্ব্বাস ঋষি শিষ্যগণ সহ, কৃষ্ণাৰ্জ্জুনে সম্ভাধিতে আসি ধীরে ধীরে, বেদীর পশ্চাৎ হ’তে ভাষিলা মধুরে— “হে কৃষ্ণ ! দুৰ্ব্বাস ঋষি আশীৰ্ব্বাদ করে ।” •এক চিত্তে কৃষ্ণাৰ্জুন চাহি সিন্ধুপানে, আত্মহারা, চিস্তামগ্ন চেতনাবিহীন । কুঞ্চ । অন্ধ জড় উপাসক ! হেন মহাশক্তি নিত্য বিদ্যমান যার নয়নের কাছে, সে কেন পূজিবে ওই অন্ধ প্রভাকর— জ্ঞানহীন, ইচ্ছাহীন, নিয়মের দাস ! যাহার উদয়, অস্ত, শূন্ত পৰ্য্যটন, , দুৰ্গন্তব্য নিয়মাধীন ; হেন প্রভাকরে কেন পূজিবেক পার্থ চেতন মানবে ! “অন্ধ জড় উপাসক –বিধক্ষ্মী নাস্তিক ”ক্রোধে দন্তে দত্ত কাটি কহিলা দুৰ্ব্বাসা“হে কৃষ্ণ । ঘূর্বসা ঋষি আশীৰ্ব্বাদ করে।” কৃষ্ণ ! তরঙ্গ তাড়িত ওই বালুকার মত,