পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রৈবতক কাব্য هa tعين মানবের জ্ঞানাকাশে সে হেতু ইহার নাম বেদমঞ্চ, শোভে চারি পা শে– ‘ঋক ষজু সীমাথৰ্ক’-চারি প্রস্রবণ । সম্মুখে তোমীর, দেখ, ‘ধ্যানকক্ষ’ এই ৷” দাড়াইয়া কিছুক্ষণ পাদপ-ছায়ায়, শুপাসিত শৈলানিলে জুড়াইল দেহ ! শুনিল অমৃতবর্ষা শান্ত সুশীতল প্রস্রবণ কল কণ্ঠ—ঋষিচ তুষ্টয় গাইছে পৰিত্ৰ বেদ গলা মিলাইয়া, মৃদু মৃদ্ধ কণ্ঠে যেন, নির্জনে বসিয়া । চারিটি পবিত্র ধারা, দেখিলা কেমন, যজ্ঞোপবীতের মত, গিরিপার্শ্ববাহী হইয়াছে শকুন্বতী স্রোতে পরিণত । আরোহিয়া “যোগ-শৃঙ্গ" দেখিল উভয়ে, বিশাল প্রভাস সিন্ধু শোভিছে দক্ষিণে, নীলাকাশে মিশি নীল আকাশের মত, রবিসরে সমুজ্জল । উত্তরে, পশ্চিমে, নীলাকাশে মিশি, নীল আকাশের মত, ছডয়াছে গিরি-শ্রেণী আনত উন্নত, চক্রে চক্ৰে নিৰ্ম্মাইয়া স্থানে স্থানে স্থানে অধিত্যকা; উপত্যক, অপূৰ্ব্বদর্শন । পুৰ্ব্বে সমতল ক্ষেত্র রহেছে পড়িয়া, nল রঙে স্বরঞ্জিত চিত্রপট মণ্ড— অপূৰ্ব্বদর্শন ! ক্ষুদ্র পরিসর শৃঙ্গে, “জ্ঞানক্রম" মূলে, চারু অজিন আসনে বসিয়া মহর্ষি ব্যাস—ধ্যানে অভিভূত ।