পাতা:নবীন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবীন
২৫

হাতে হাতে ধ’রে এই খেলার নাচন। এই খেলায় পূরোপূরি যোগ দাও—সুরুর সঙ্গে শেষের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলিয়ে নিয়ে জয়ধ্বনি ক’রে চ’লে যাও।

আজ  খেলা-ভাঙার খেলা খেলবি আয়
সুখের বাসা ভেঙে ফেলবি আয়!
মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুট্‌বে,
ফাগুনদিনের আজ স্বপন তো ছুটবে,
উধাও মনের পাখা মেলবি আয়।
অস্তগিরির ঐ শিখর-চূড়ে
ঝড়ের মেঘের আজ ধ্বজা উড়ে।
কাল-বৈশাখীর হবে-যে নাচন,
সাথে নাচুক তোর মরণ বাঁচন
হাসি কাঁদন পায়ে ঠেলবি আয়॥

 পথিক চ’লে গেল সুদূরের বাণীকে জাগিয়ে দিয়ে। এমনি ক’রে কাছের বন্ধনকে বারে বারে সে আলগা করে দেয়। একটা কোন্‌ অপরিচিত ঠিকানার উদ্দেশ বুকের ভিতর রেখে দিয়ে যায়—জানলায় ব’সে দেখতে পাই তার পথ মিলিয়ে গেছে বনরাজি-নীল দিগন্ত-রেখার ওপারে। বিচ্ছেদের ডাক্‌ শুনতে পাই কোন্‌ নীলিম কুহেলিকার প্রান্ত থেকে—উদাস হ’য়ে যায় মন—কিন্ত সেই বিচ্ছেদের বাঁশিতে মিলনেরই সুর তো বাজে করুণ সাহানায়।—