পাতা:নবীন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
নবীন

বাজে করুণ সুরে, (হায় দূরে, )
তব চরণ-তল-চুম্বিত পন্থবীণা।
এ মম পান্থ-চিত চঞ্চল
জানি না কি উদ্দেশে॥
যুথী-গন্ধ অশান্ত সমীরে
ধায় উতলা উচ্ছ্বাসে,
তেমনি চিত্ত উদাসী রে
নিদারুণ বিচ্ছেদের নিশীথে॥

 এই খেলা-ভাঙার খেলা বীরের খেলা। শেষ পর্য্যন্ত যে ভঙ্গ দিল না তারি জয়। বাঁধন ছিড়ে যে চ’লে যেতে পারলো, পথিকের সঙ্গে বেরিয়ে প’ড়লো পথে, তারি জন্তে জয়ের মালা। পিছনে ফিরে ভাঙা খেল্নার টুকরো কুড়োতে গেল যে কৃপণ, তা’র খেলা পূরো হোলো না—খেলা তাকে মুক্তি দিল না, খেলা তাকে বেঁধে রাখলে। এবার তবে ধূলোর সঞ্চয় চুকিয়ে দিয়ে হাল্কা হ’য়ে বেরিয়ে পড়ো।

বসন্তে ফুল গাঁথলো আমার
জয়ের মালা।
বইলো প্রাণে দখিন হাওয়া
আগুন-জ্বালা!