পাতা:নবীন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবীন

তোমার প্রজাপতির পাখা
আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধচোখের রঙীন স্বপন মাখা;
তোমার চাঁদের আলোয়
মিলায় আমার দুঃখ সুখের সকল অবসান॥

 ভ’রে দাও একেবারে ভ’রে দাও, কোথাও কিছু সঙ্কোচ না থাকে। পূর্ণের উৎসবে দেওয়া আর পাওয়া একই কথা। ঝরনার তা’র এক প্রান্তে পাওয়া রয়েছে অভ্রভেদী শিখরের দিক থেকে, আর এক প্রান্তে দেওয়া রয়েছে অতলস্পর্শ সাগরের দিকে, এর মাঝখানে তো কোনো বিচ্ছেদ নেই, অন্তহীন পাওয়া আর অন্তহীন দেওয়ার আবর্ত্তন নিয়ে এই বিশ্ব।

গানের ডালি ভ’রে দে গো ঊষার কোলে—
আয় গো তোরা, আয় গো তোরা, আয় গো চ’লে
চাঁপার কালি চাঁপার গাছে
সুরের আশায় চেয়ে আছে.
কান পেতেছে নতুন পাতা, গাইবি ব’লে
কমল বরণ গগন মাঝে
কমল চরণ ঐ বিরাজে।
ঐখানে তোর সুর ভেসে যাক্,
নবীন প্রাণের ঐ দেশে যাক্,
ঐ যেখানে সোনার আলোর দুয়ার খোলে॥

মধুরিমা দেখো, দেখো, চাঁদের তরণীতে আজ পূর্ণতা পরিপুঞ্জিত। কত দিন ধ’রে এক তিথি থেকে আরেক তিথিতে এগিয়ে আসচে। নন্দনবন থেকে আলোর পারিজাত ভ’রে নিয়ে আলো—