এতদ্ভিন্ন এনিসি, ষ্টিরিগাছি, বুনি, রেষ্ট্রফনি প্রভৃতি অনেকগুলি কামানবাহী ও টর্পেডো ধবংসিণীতরণী বিনষ্ট ও নিরপেক্ষ বন্দরে বন্দী হয়। রেসিটেলনী, মঙ্গোলিয়া প্রভৃতি কয়েকখানি জাপানীরা কাড়িয়া লয়।
উপরােক্ত রণতরি সকলের মূল্য ত্রিংশতি কোটী টাকার ন্যূন হইবে না।
এই যুদ্ধে জাপানের হ্যাট্সুজ নাম্নী যুদ্ধজাহাজ, যশিনো নাম্নী রক্ষিত রণতরি ও কয়েকখানি টর্পেডো বােট জলমগ্ন হইয়াছিল।
স্থলযুদ্ধ।
রুষজাপান সমরে যতগুলি উল্লেখযােগ্য যুদ্ধ সংঘটিত হইয়াছে, তাহার সকলগুলিতেই জয়লক্ষ্মী রুযিয়ার প্রতি কার্পণ্য প্রকাশ করিয়াছেন। কি আলুতীরে, কি দুরারােহ ন্যান্সান পর্ব্বতে, কি ওয়েফ্যানকু প্রান্তরে, কি সুরক্ষিত কেইপিং নগরে, কি দুর্গম মটিয়েন গিরিপ্রদেশে, কি ট্যাসিচিও ক্ষেত্রে, সর্ব্বস্থানেই রুষ সৈন্য পরাজিত ও বিতাড়িত হইয়াছে। দ্রুত পলায়ন ব্যপদেশে রুষ সেনাপতিরা প্রতিযুদ্ধেই বহু সংখ্যক কামান, বহু সহস্র বন্দুক, প্রচুর যুদ্ধোপকরণ ও বহু পরিমাণ খাদ্যাদি পরিত্যাগ পূর্ব্বক ও সগৌরবে পলায়ন করিতে বাধ্য হইয়াছেন। রুষ সেনানী ও সৈনিকগণ প্রকৃত বীরের ন্যায় প্রাণপণে যুদ্ধ করিয়াও এই ছয়টী যুদ্ধ ক্ষেত্রের কোন স্থলেই সফলকাম হইতে পারেন নাই। তাঁহারা প্রতি যুদ্ধেই জীবনে উপেক্ষা, অপূর্ব্ব বুদ্ধিমত্তা ও বীরত্বের পরকাষ্ঠা প্রদর্শন করিয়াও নিষ্ঠুর অদৃষ্ট দেবীর চিত্ত বিনােদনে সমর্থ হয়েন নাই।