পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
নরওয়ে ভ্রমণ
১১

নরওয়ে প্রমণ। হইয়াছে। কেন না ক্ষুধার উদ্রেক হইলে শ্বেতাঙ্গগণ স্বর্গের শোভা নিরীক্ষণেও অসম্মত;- অগ্রে উদর-পরিপূরণ পরে নয়নের পরিতৃপ্তি, ইহাই বোধ হয় ইহাদের রীতি। আমাদের প্রধান হিন্দুস্থানে কিন্তু যেখানেই প্রাণারাম প্রাকৃতিক দৃশ্য, সেখানেই এক একটি তীর্থক্ষেত্র-দেবমন্দির প্রতিষ্ঠিত; সুতরাং এই সকল মনোরম ধ্যানধারণা করিবার উপযোগী স্থানে আসিয়াও কেবলই অহারের আয়োজন আমাদের চক্ষে কেমন অশোভন বলিয়া প্রতীয়মান হয়। কিন্তু কি করা যায় —পাশ্চাত্য-রাতানুযায়—ভদ্রতার খাতিরে (!) অত্যা সেই পান্থশালায় প্রবেশ করলাম। হোটেলবাসিগণ ইতঃপূর্বে বোধ হয় আর কখন আমাদের দেশের লোক দেখে নাই। আমরা কেদার উপবেশন করিলাম; সকলেরই কৌতুহলপূর্ণ আশ্চর্য্যদৃষ্টি আমাদিগের প্রতি নিবন্ধ হইল;—সকলেই যেন কি একটা অদৃষ্টপূর্ব দৃশ্য দেখিতে লাগিল! যে ঘরে অমর বসিলাম, তাহার চতুর্দিকে গরম জলের পাইপ থাকায় অতাধিক শীতের জড়সড় ভাবটা কিয়ৎ পরিমাণে দূর হইল। এতক্ষণ পদযুগলের অস্তিত্ব সম্বন্ধে সংশয়ম্বিত ছিলাম, এখন তারা যথাস্থানে আছে বুঝিতে পারিয়! আশ্বস্ত হইলাম। শীতপ্রধান দেশবাসীদিগের যেন ধ্রুব নেশ।॥” ‘ট্রন্টজে'—“টুরিষ্ট হোটেল ধারণা যে, উষ্ণপ্রধান দেশের অধিবাসীরা আদৌ শৈত্যের প্রকোপ সহ করিতে পারে না। আমাদের দেশেও যে হিমাচল আছে, এবং তাহারই উচ্চতম প্রদেশে, বসবাস করিতেও যে আমরা অভ্যস্ত, একথা বারংবার নিঃসংশয়িতভাবে বুঝাইয়া দেওয়া