পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নরওয়ে ভ্রমণ
১৯

যেন খেদে সেই মেঘান্তরালে মুখ লুক্কায়িত করিলেন, আবার বুঝি স্নেহ-পরবশ হইয়া পরক্ষণেই সস্মিত-মুখে আমাদিগকে আরও উর্দ্ধে উঠিতে আহ্বান করিলেন।—তখন আমাদের অবস্থা আরও শোচনীয় হইয়া দাঁড়াইয়াছে! শরীরের শোণিত-প্রবাহ কোন মতেই আর নাসাগ্র পর্য্যন্ত আসিতে সম্মত নয়,—পদতল পর্য্যন্ত পৌঁছান ত দূরের কথা! করযুগল কত কাকুতিমিনতি করিয়াও রক্তের বেগ উওেজিত করিতে পারিতেছে না। এরূপ অবস্থায় পড়িয়া, গিরিসঙ্ক‌ুল পথযাত্রায় গাত্রের আচ্ছাদন যথাস্থানে রাখাও দায় হইল। এখন উপায়?—হস্তের সাহায্য ভিন্ন ত আবরণ-রক্ষার উপায়ান্তর নাই। ভাবিলাম, এই পাংশুলা পাণিকে এখন চর্ম্মাদিতে আবৃত করিয়া —একেবারে ব্রহ্মচর্য্যের বেশে সাজাইয়া—পরহিত-ব্রতে ব্রতী করি; কিন্তু সে, রোমশ-দস্তানার আশ্রয়ে আসিয়া এমনই বিরাগী হইয়া পড়িল যে, একেবারে বাহ্য-জ্ঞান বিরহিত! সে যে কি করিতে কি করিতেছে—কিছুই জানি না। এরূপ বিপাকে পড়িলে মনের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটাই

‘নেরোডালেন্’

স্বাভাবিক; কিন্তু না জানি কেন, আজ মন বড়ই প্রসন্ন, —কিছুতেই তার ভ্র‌ূক্ষেপ নাই! আসল কথা, সে এমন স্থানে আর কখনও আসে নাই; এতদিন তাহার পক্ষে যাহা অনুমান ছিল, এখন তাহা প্রত্যক্ষ বিদ্যমান! —এখন সে তাহার বহু পূর্ব্বাবধি নিজাঙ্কিত