পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
নরওয়ে ভ্রমণ
২৭

নরওয়ে ভ্রমণ २१ খাইতেছে। শরীরটা এক রকম চৈতন্যহত হইয়া আরাম-কদারায় পড়িয়া আছে। তা যার যাবার তার গিয়াছে, অন্যের অত মাথাব্যথায় প্রয়োজন কি? এখন হইতে নাকি • নুতন গুন দেখিয়া আর বারদিন পরে লওনে পৌছিব, এইরূপ বিজ্ঞাপন দেওয়া হইয়াছে। যত দক্ষিণে ফিরিতেছি, ততই শীত কমিয়া আসিতেছে, তার অন্ধকার দেখা দিতেছে, দস্তুরমত সংকেও পাওয়া যাইছে। বিজ্ঞাপনের লিকামত গাজকার যাবার জায়গার নাম Trollhattarn, সেখানে এক প্রখ্যাত কণ তাছে। গাটে আসিয়া রেলগাড়! চড়িয়া যাইতে হইবে। যাই আমরা আসিয়া, আমাদের নির্দিষ্ট বয়-শটে গারোহণ করিয়াছি, অমনই সে গা ঝাড়া দিয়া ছুট দিল। আমাদের দেশের মত এদের। ভয়ে ভয়ে চলা নাই। টুইন ঘণ্টায় ৫০৬০ মাইল যাওয়া চাই। গাইডু মহাশয় আমাদের সঙ্গী হওয়াই সঙ্গত মনে করিয়া আমাদের গাড়াতেই আসিয়া বসিলেন। কুবেরের ঐশ্বর্যকেও আমরা অতিক্রম করিয়াছি, হয়ত বা তার অন্তরে এ বিশ্বাস বদ্ধমূল হইয়াছিল। কিন্তু বিদেশীর মনের এই ভ্রান্ত বিশ্বাসে উভয় পক্ষকেই ভারি ভোগায়। যারা দূরদেশ ভ্রমণে বাহির না হইয়াছেন, সে দুঃখ তাদের বোঝান সম্ভব নয়। সে বেচারা আমাদের অবগতির জন্য হস্তপদাদি সঞ্চালন করিয়া কত যে নিবেদন করিতে লাগিল, সে সব স্মরণ রাখিতেও শক্তির প্রয়োজন দেখিলাম। এইরূপ প্রহরেক এক তরফা প্রলাপের পর, আমরা যেন নিস্তার পাইলাম! গাড়ী থামিয়াছে, লোকজন নমিতেছে