পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
২৮
নরওয়ে ভ্রমণ

নরওয়ে প্রমাণ। এবং হা ঁকরিয়া দেখিয়েছে, কোথা হইত বা সেই প্রাপ্যত নিরিণী নামিয়া আসিতেছে? তখন আমাদের পথপ্রদর্শকের নিকট শুনিলাম যে, সে নাকি এখনও আরও ঘণ্টা আশেকের পথ বাকি। ফের ঘোড়ার গাড়াতে চড়া। আবার গাড়ার ঘড়ঘড়ী, এক পান্থপুরার পুনদর্শন, তন্মধ্যে প্রবেশ এবং পরিবেষণের হুড়াহুড়ি, তৎসঙ্গে কাণে শোনা সেই মহা ঝরণার ঝরঝরি, তারপর সকলে উদ রজ্বালা সম্বরণ করিয়া, পদদ্বয়েই ভর দিয়া, বেশ একটু তাড়াতাড়ি হাঁটিয়া আসিয়া এক সুন্দর সেতুবন্ধের উপরে দাড়াইলাম। এই টুকু আসিতে দুই চক্ষে কি দেখিলাম, কিছু জ্ঞান নাই। জানি কেবল একটা নীরব নদী আমাদের সঙ্গে চলিয়াছিল। খানিক পরে হঠাৎ তার ভাবগতিক ব লইয়া গেল। কি মনে করিয়া সে ক্ষণেকের জন্য তার বৈস্থিত গুরুরাজির অন্যান্তরে লুকাইয়া রহিল, তারপর একেবারে এই উন্মত্ত অবস্থায় আসিয়া দেখা দিল। এ কিসের উলহাটানের নীরব নদী উচ্ছাস! কে একে এমন পাগল করিয়া দিল? প্রথমে কিছুই বুঝিতে পারিলাম না॥ তারপর সে যখন আপন মনে আত্মকাহিনী কহিয়া যাইতে লাগিল, তখন কাণ পাতিয়া শুনিলাম যে, সে অতি উচ্চকুলোদ্ভব, কোন শৈলেশ্বরের আজা। শৈশবে বড় সুখে পালিতা, নিশিদিন পিতামাতা দুহিতাকে আপন বক্ষে আঁকড়িয়া রাখিয়া ও যেন তৃপ্ত হইতেন না। বড় ভয়, পাছে কোথাও গেলে হারাইয়া যায়, তাই ঘরের বাহির হইতে