পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
নরওয়ে ভ্রমণ
২৯

নরওয়ে ভ্রমণ। দিতেন না। সর্বদাই বদ্ধাবস্থা। খেলার সাথী সঙ্গী অনেক জুটিয়াছিল বটে, কিন্তু ঐ এক আঙ্গিনার মধ্যে যা কিছু আমেপি অফ করা। •মে যখন সে শৈশব ছাড়িয়া কৈশোরে পদার্পণ করিল, তখন আর তার এসব শিশুখলা ভাল লাগিল না। যখন তখন তার গণ্ডস্থল বহিয়া দু'চার ফোটা চক্ষের জল গড়াইয়া পড়ে, আর ভাবে, এভাবে দিন কেমন করিয়া কাটিবে। {ত! দেখলেন, সন্তানের অবস্থা শোচনীয়, মায়ের ও আর পারণে বুক বঁধিয়া থাকা চলে না, তাঁর বক্ষ বিদীর্ণ হইতে লাগিল। অবসর বুঝিয়া ক। এদি” ওদিক একটু আধটু উকিঝুকি দেয়। কি একে রাজার ঝি, তাতে এক এক রকম ঐ; এই বর ভূমি বেশী দূর পা চলে কি? একটু ঢলিতেই পকিয়া দাঁড়ায়, আর চারিদিকে চায়। আশে পাশের সঙ্গিনীর। টুলহানের নদীর উন্মত্ত অবস্থা আসিয়া তখন হাতে ধরিয়া লইয়া যায়। এই ভাবে সে দিন কাটায়। একদিন কেমন উন্মনা হইয়া, পিতার পায়ে পড়িয়া লুটাপুটি, আর মায়ের পক্ষে পড়িয়া কাদাকাটি,-“আমায় ছাড়িয়া দাও, আমি আর ঘরে রইতে নারি। আমায় ডেকেছেন আমার হরি।” কিশোর কাণে খন প্রিয়তমের ডাক প্রগন পৌছায়, এব সে ডাকে প্রাণে সদ্য প্রেম জাগায়, তখন সে অগ্রপশ্চাৎ ভাবে না, ভালমন্দ বোঝে না, যুক্তিতর্ক মানে না। তার মুখে শুধু এক বুলি “ডেকেছেন প্রিয়তম কে রহিবে ঘরে।” মা বাপ তখন নিরুপায়, সাধ্যমত তাহারই কথায় সায় না দিলে, হিতে বিপরীত হইয়া যায়, এই সব ভাবিয়া চিন্তিয়া যোগনিষ্ঠ জনক জননা, শান্ত সমাহিত চিসেস্থানের