পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
নরওয়ে ভ্রমণ
৪১

নরওয়ে ভ্রমণ এবারে আরও ৬ ঘণ্টার পথ ঘোড়ার গাড়ীতে গিয়া নির্দিষ্ট হোটেলে রাত্রিবাস। পর দিন রেলগাড়ীতে অবশিষ্ট রাস্তা শেষ করিয়া জাহাজ-ধরা। এই গিরিসঙ্কুল পথের দুই ধারে কৃষকদিগের শস্যক্ষেত্র সকল শস্যে পরিপূর্ণ হইয়া আছে। মাঝে মাঝে এই শ্যামল সুন্দর শোভা দেখিয়া, ভ্রম হইতেছিল, বুঝি বা আপনার দেশেই ভ্রমণে বাহির হইয়াছি। কেন না সেই ভুবন-মননামোহিনীর ত দেশ বুঝিয়া বেশবিন্যাসের পার্থক্য নাই। এখানেও তার— “নীলসিন্ধুজল ধৌত চরণতল, . অনিলবিকশিত শ্যামল অঞ্চল।” তিনি এখানেও “পুণ্য শুভ্র তুষারকিরীটিনী” কিন্তু যখন তার কৃষকদের নগ্ন পদে, পাদুকা সংযোগ; তাদের অনাবৃত অঙ্গে সত্যতাসূচক সাট সংলগ্ন, যদিও তা নিতান্ত অপরিচ্ছন্ন ও জীর্ণ শীর্ণ; পরণের শাদা ধৃতির জায়গায় পায়জামা সন্নিবেশিত, আর খোলা মাথা, সোলার হেটে আবৃত; এবং তৎসঙ্গে কৃষকজায়ার অঞ্চলোচিত অঙ্গে জামা॥ | গম্ভাঞ্জ—প্রথম দৃশ্য আঁটা, রুক্ষ কেশে বেণী বাঁধা, তার আজানুলম্বিত অনতিদীর্ঘ মোটা বুনটু শাটীর বদলে কৃষিকার্যনিবন্ধন বিমলিন ঘেরোয়া ঘাগরা দেখা যায়, তখন কি আর দেশ কি বিদেশ, এই ভুল ভাঙ্গিতে দেরী লাগে? তারপর বাড়ীঘর গাইবাছুরের ত কথাই নাই। কই বা সে খড়ের ঘরের কাচা মেলে, লেপা পোছায় সদাই ভিজে, এককোণেতে গোলাথর,